নীরব মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র ব্রিটিশ আদালতের

১৪ হাজার কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্ক্যামে অভিযুক্ত নীরব মোদী (Nirav Modi)।

নীরব মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র ব্রিটিশ আদালতের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2021 | 6:01 PM

লন্ডন: ২ বছর ধরে লন্ডনে শুনানি চলছে নীরব মোদী ভারত-প্রত্যর্পণ মামলার। এ বার শুনানিতে তাঁর ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিল ব্রিটিশ আদালত। বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই যেখান থেকে বলা যায় নীরব মোদী ভারতে ফিরলে ন্যায় পাবেন না। তাই নীরব মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণ হতে পারে।

১৪ হাজার কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্ক্যামে অভিযুক্ত নীরব মোদী। এ দিন ভারত-প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি স্যামুয়েল গুজ বলেন, “এমন কোনও প্রমাণ নেই যেখান থেকে বলা যায় যে নীরব মোদী ভারতে ফিরলে ন্যায় পাবেন না।” এ কথা বলে নীরবন মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছেন স্যামুয়েল। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে নীরব মোদীর এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতির সাফ কথা, অবৈতনিক ঋণের ক্ষেত্রে নীরব মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ব্যাঙ্কের উচ্চতর আধিকারিকদের সঙ্গেও।

অপরিশোধিত ঋণের ক্ষেত্রে খোদ নীরব মোদী ব্যক্তিগত ভাবে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে চিঠি লিখে ঋণ পরিশোধের কথা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আদালতে শুনানিতে উঠে এসেছে এই কথাও। শুনানিতে বিচারক জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত করে নীরব মোদীর নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থার খোঁজ পেয়েছে। স্যামুয়েল গুজ বলেন, “আমি মানতে নারাজ যে নীরব মোদী বৈধ ব্যবসা করতেন। লেনদেনে একাধিকবার তিনি অসৎ পথ অবলম্বন করেছেন।”

দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানি চলাকালীন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ৪৯ বছরের নীরব মোদী। বিচারপতি জানান, ভারত থেকে তিনি ১৬ দফা প্রমাণ পেয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এই ছাড়পত্র এরপর ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি পাটেলের কাছে যাবে। তবে অন্যপক্ষেরও মামলা হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বিশ্ব জোড়া নাম হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর। তাঁর ‘ব্র্যান্ড’-এর হিরের গয়নায় এক সময় সেজেছে হলিউড থেকে বলিউড। গুজরাতের রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির এই ভাইপো ৪৬ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছিলেন বিজনেস ‘টাইকুন’। ফায়ারস্টার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান থেকে ফোর্বসের ৫৭ জন ধনীর তালিকায় অন্যতম, সাফল্যের ঝুলিতে কী ছিল না। কিন্তু এরই সঙ্গে তিনি যে নীরবে বহুদূর জাল বিস্তার করতে শুরু করেছিলেন, ২০১৮ সালে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সে বছরই ইডি নীরব মোদীকে ভারতে চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার হন নীরব মোদী।

আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডে কাজ হয়নি, দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের জন্য পৃথক ভ্যাকসিন মডার্নার