ভারত-পাক সীমান্তে চলবে না গুলি, মধ্যরাত থেকে কার্যকর হল সিদ্ধান্ত

তিন বছরে ১১০০০ সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি (Ceasefire) ভেঙেছে দুই দেশ। সোমবার হটলাইনে কথোপকথনের পর অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল ভারত ও পাকিস্তান।

ভারত-পাক সীমান্তে চলবে না গুলি, মধ্যরাত থেকে কার্যকর হল সিদ্ধান্ত
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2021 | 6:40 PM

নয়া দিল্লি: সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়েছিল আগেই। কিন্তু তারপরও প্রায় প্রত্যেকদিনই শিরোনামে উঠে আসে সেই চুক্তি লঙ্ঘনের (Ceasefire Violation) খবর। চুক্তি ভেঙে বারবারই গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। জবাব দিয়েছে ভারতও। এবার সীমান্তে সেই গোলাগুলি (Cross Border Firing) বন্ধ করার সিদ্ধান্তে সম্মত হল ভারত-পাকিস্তান।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হল হয়েছে দুই দেশ। বুধবার মধ্যরাত থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের ওই অঞ্চলে বুধবার মধ্যরাত থেকে গুলি বিনিময় বিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন এই কথা।

সূত্রের খবর, ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও-র মধ্যে কথা হয় গত সোমবার। দুই দেশের মধ্যে হটলাইনে যোগাযোগ জারি থাকে সবসময়। সাধারণত, সপ্তাহে এক বার দুই দেশের ব্রিগেডিয়ার স্তরে কথোপকথন হয়। তবে ডিজিএমও স্তরে হটলাইনে কথা হওয়ার ঘটনা বিরল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দুই আধিকারিক হটলাইনে যোগাযোগ রাখবেন। প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণরেখা সামরিক পরিস্থিতি নজরে রাখবেন তাঁরা, যাতে স্থিতাবস্থা ও শান্তি বজায় থাকে।

এরপর থেকে দুই সেনাবাহিনীর এই দুই শীর্ষ আধিকারিক হটলাইনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তাঁরা দেখবেন, যাতে ভারত ও পাকিস্তানের তরফে কোনওরকম সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন এবং ভুল বোঝাবুঝি না হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে এই সীমান্তের গোলাগুলিতে জওয়ান ও সাধারণ নাগরিক সহ মোট ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১১০০০ বার লঙ্ঘন হয়েছে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি। ২০০৩ সালে ওই চুক্তি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ২০১৬-র উরি হামলার ঘটনা পর্যন্ত সেই চুক্তি বজায়ও ছিল। তবে তারপর গত কয়েক বছরে গোলাগুলির আর কোনও হিসেব নিকেঢ় ছিল না। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারাও দিন কাটাতেন আতঙ্কে। নতুন করে দুই দেশের মধ্যে গৃহীত হওয়া এই সিদ্ধান্ত স্বস্তি দেবে তাঁদেরও।