Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ি ফাঁকা থাকলেই বছর কুড়ির ভাইপোকে ডাকত কাকিমা…যে দৃশ্য সেদিন দেখেছিলেন কাকা, তারপরেই ঘটল গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো কাণ্ড

Crime: পরিবারের সকলের অলক্ষ্যে তারা দেখা-সাক্ষাৎ করত। কাকা বাড়িতে না থাকলেই ভাইপোকে বাড়িতে ডেকে নিতেন কাকিমা। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল।

বাড়ি ফাঁকা থাকলেই বছর কুড়ির ভাইপোকে ডাকত কাকিমা...যে দৃশ্য সেদিন দেখেছিলেন কাকা, তারপরেই ঘটল গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো কাণ্ড
ধৃত যুবক।Image Credit source: TV9 ভারতবর্ষ
Follow Us:
| Updated on: Apr 07, 2025 | 11:48 AM

ভোপাল: কাঁচা রাস্তার ধারে পড়েছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মাথার পিছন থেকে বেরচ্ছিল রক্ত। কেউ যেন ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেছে। গ্রামের লোকজন দেখতেই হইচই পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। সাধাসিধে, নিপাট ভদ্রলোককে এমন নৃশংসভাবে কে মারল? পুলিশ তদন্তে নামতেই যে তথ্য সামনে এল, তাতে স্তম্ভিত গোটা গ্রাম। লজ্জায় চোখ নামাতে হল মৃতের পরিবারকেই। কী এমন হয়েছিল?

মধ্য প্রদেশের শিবপুরীতে কামাল ওরফে ছোটু নামক এক যুবকের বিরুদ্ধেই উঠল তাঁর কাকাকে খুনের অভিযোগ। তবে খুনের কারণ ভয়ঙ্কর। জানা গিয়েছে, বছর কুড়ির ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর কাকিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কাকা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যাওয়ায় তাঁকে খুন করে।

জানা গিয়েছে, শিবপুরীর ইন্দর এলাকার কুতওয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর কাকিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরিবারের সকলের অলক্ষ্যে তারা দেখা-সাক্ষাৎ করত। কাকা বাড়িতে না থাকলেই ভাইপোকে বাড়িতে ডেকে নিতেন কাকিমা। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল।

সম্প্রতিই কাকা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবেই প্রকাশ্যে আনেননি বিষয়টি। তবে স্ত্রী ও ভাইপোকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে তারা যেন আর দেখা না করেন। কাকার এই নিষেধ পছন্দ হয়নি। তাই কাকিমা ও ভাইপো মিলে পরিকল্পনা করে কাকাকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার। পরিকল্পনা মাফিক কাকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার নাম করে দেখা করে অভিযুক্ত যুবক। তাঁকে নিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে খামারে নিয়ে যায়। সেখানে কাকাকে মদ্যপান করায় ওই যুবক। এরপর পিছন থেকে ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে। পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে মাথায়।

কাকার মৃত্যুর পর কাঁচা রাস্তায় তাঁর দেহ ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। বাড়িতে পুলিশ যখন আসে, তখনও অবাক হওয়ার অভিনয় করেছিল। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য অন্য গল্পও বলেছিল। কিন্তু গ্রামের এক বাসিন্দাই তাঁকে কাকার সঙ্গে খামারের দিকে যেতে দেখে নেওয়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর পুলিশ ওই যুবককে আটক করে এবং জেরা শুরু করে। প্রথমে মিথ্যা কথা বললেও, পরে অপরাধ স্বীকার করে নেয়।