প্রয়োজন ১৬ কোটির ওষুধ, ৩ বছরের একরত্তির পাশে ৬২ হাজার মানুষ
সিঙ্গল ডোজ় এই ওষুধের জন্য অনলাইনে ১৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন ৬২ হাজার ৪৫০ জন।
হায়দরাবাদ: ৩ বছরের একরত্তির জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন। বিরল জিনগত রোগে আক্রান্ত ৩ বছরের আয়ান্স গুপ্তার পাশে এসে দাঁড়ালেন ৬২ হাজার ৪৫০ জন। আয়ান্সের বিরল রোগের নাম স্পাইনাল মাসকুলার অট্রোফি (Spinal Muscular Atrophy)। যার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামের ওষুধ জ়োলগেন্সমা। সিঙ্গল ডোজ় এই ওষুধের জন্য অনলাইনে ১৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন ৬২ হাজার ৪৫০ জন।
গত ২ বছর ধরে চেয়েও টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না আয়ান্সের। এরপর ফান্ড তোলার জন্য ইম্প্যাক্টগুরু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করেন আয়ান্সের বাব যোগেশ ও মা রুপাল গুপ্তা। আবেদনের ৪ মাসের মধ্যেই উঠে আসে প্রয়োজনীয় টাকা। এরপর যোগেশ গুপ্তা বলেন, “আয়ান্সকে বাঁচানোর জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটা আয়ান্সের জীবন বদলে দিতে পারে। আমরা অত্যন্ত খুশি।”
বিরল জিনগত রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতে বা বসতে পারত না আয়ান্স। একাধিক ফার্মা কোম্পানির দ্বারস্থ হয়েও ছেলের জন্য ওষুধ আনতে পারেননি আয়ান্সের বাবা। তাই বাধ্য হয়ে অনলাইনে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের চেষ্টা করেন তাঁরা। চিকিৎসক রমেশ কোনাঙ্কি জানান, ওষুধে কাজ হবে বলেই তাঁর অনুমান। আয়ান্স নতুন মাইলস্টোন অতিক্রম করবে।
তিনি বলেন, “স্রেফ ৮০০ থেকে ৯০০ জন এই রোগ নিয়ে বেঁচে আছেন। এই রোগে ২ বছর বয়স হলেই শিসুরা মারা যায়। আয়ান্সে জন্য ৪ মাসে আমরা ওষুধ জোগাড় করতে পেরে অত্যন্ত খুশি।” এর আগে হায়দরাবাদের রেইনবো হাসপাতাল আরও ২ শিশুকে এই বিরল রোগের ওষুধ দিয়েছে। গত মাসে এই ইম্প্যাক্টগুরুর মাধ্যমে মুম্বইর রাঠোর পরিবারও নিজের শিশুর চিকিৎসা করাতে পেরেছিলেন। তখনও এগিয়ে এসেছিলেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ।
আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকেই লাগাতার ধর্ষণ, পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাবা