Delhi Fire: গরম আঁচে ভেঙেছিল ঘুম, চোখ খুলেই দেখলেন দাউদাউ করে জ্বলছে ঘর! দমবন্ধ হয়ে মৃত ৪
4 Family Members died in Fire: এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ আগুন লাগার খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয় সেই আগুন। বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি দেহ।
নয়া দিল্লি: মশার কামড়ে ঘুমানো যায় না, তাই শোয়ার আগেই ধূপ (Mosquito Coil) জ্বালিয়েছিলেন পরিবারের কর্তা। ভোররাতে চোখ খুলতেই দেখলেন গোটা ঘরেই আগুন (Fire) জ্বলছে। দরজাও খোলার উপায় নেই, সেখানেও পৌঁছে গিয়েছে আগুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল ঘর, এভাবে ভোররাতে দমবন্ধ (Suffocation) হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার সদস্যের।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির পুরনো সীমাপুরী এলাকায়। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ আগুন লাগার খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয় সেই আগুন। বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি দেহ।
দমকল বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনে পুড়ে নয়, দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই চারজনের। মৃতদের নাম হল হরিলাল (৫৮), তাঁর স্ত্রী রীণা (৫৫), তাঁদের ২৪ বছরের ছেলে আশু ও ১৮ বছরের মেয়ে রোহিনী। হরিলাল ও রীণার বড় ছেলে অক্ষয় বাড়ির দোতলায় ঘুমানোয়, সে আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, হরিলাল নামক ওই ব্যক্তি শাস্ত্রী ভবনের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিলেন। আগামী বছর মার্চ মাসেই তাঁর অবসর গ্রহণের কথা ছিল। তাঁর স্ত্রী রীণা দিল্লি পুরসভার ঝাড়ুদার হিসাবে কাজ করতেন। বড় ছেলে অক্ষয় মজুর হিসাবে কাজ করে, ছোট ছেলে আশু চাকরির খোঁজ চালাচ্ছিল। বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য রোহিণী দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে মশার ধূপ থেকেই ঘরের তক্তপোশ বা অন্য কিছুতে আগুন লেগে যায় এবং তা গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। দরজার সামনেও আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় ওই চারজন ঘরের ভিতরেই আটকে পড়েন এবং দমবন্ধ হয়ে মারা যান। চারজনেরই দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ও ৩০৪এ ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।