৪৭ বছর আগে এমন দিনেই হেসেছিলেন ‘বুদ্ধ’
ঠিক ৪৭ বছর আগে পোখরানের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করে ভারত। পরীক্ষিত হয় দেশের প্রথম পরমাণু বোমা।
পোখরান: ‘শেষ পর্যন্ত বুদ্ধ হেসেছেন।’, পরমাণু পরীক্ষার পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এই বার্তাই দিয়েছিলেন ভাবা রিসার্চ সেন্টারের তৎকালীন ডিরেক্টর রাজা রামন্ন। আর সেই দিনটা ছিল ১৮ মে। আজ থেকে ঠিক ৪৭ বছর আগে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা করে দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারত। মিশনের নাম ছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। আসলে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই সেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয় ভারত।
১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয় ভারত। আর তারপরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভাব করতে শুরু করেন। এরপরই এই প্রকল্পে অনুমতি দেন৷ ১৯৭২ সালে কাজ শুরু হয় তৎপরতার সঙ্গে৷ ১৯৭৪-এর ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে পরীক্ষামূলক ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় পারমাণবিক বোমা৷ এই পরীক্ষা করে কার্যত এক নজির গড়ে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হয়েও প্রথম কোনও দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা করে। বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে নাম উঠে আসে ভারতের৷ এই মিশনের পোশাকি নাম ছিল পোখরান-১।
আরও পড়ুন: ‘দেশভাগের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে ভোট পরবর্তী বাংলা’, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
ড. রাজা রামান্না ছিলেন বিজ্ঞানীদের দলের প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন ড. পি কে আইয়েঙ্গার, ড. রাজাগোপাল চিদাম্বরম, ড. নাগাপত্তিনাম শম্বশিব বেঙ্কটেশন, ড. আব্দুল কালাম ও ড. ওয়ামান দত্তাত্রেয় পটবর্ধন। তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ড. হোমি এন সেতনা। প্রকল্পটিতে ৭৫ জনের বেশি বিজ্ঞানী ছিলেন না৷ গোপনীয়তা বজায় রাখতেই দলটিকে ছোটো রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
পরে পোখরানে ফের একবার পরমাণু পরীক্ষা হয়। যার পোশাকি নাম ছিল পোখরান-২। ১৯৯৮ সালে পোখরানে দ্বিতীয় পরমাণু পরীক্ষায় পরপর পাঁচটি বোমা পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতকে পারমাণবিক রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেন৷