Secunderabad Fire: রাতে হঠাৎ শপিং কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন, ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু ৬ জনের

Fire Incident: অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। পরে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন পাঠানো হয় আগুন নেভানোর কাজে। ল্য়াডার, স্নরকেলও ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

Secunderabad Fire: রাতে হঠাৎ শপিং কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন, ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু ৬ জনের
এই বহুতলেই আগুন লাগে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2023 | 6:46 AM

হায়দরাবাদ: রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে তেলঙ্গানার (Telangana) সেকেন্দ্রাবাদের (Secunderabad) একটি বহুতল শপিং কমপ্লেক্সে। ওই কমপ্লেক্সের ভিতরেই আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। শেষ খবর পাওয়া অবধি, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে চারজন। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে উদ্ধারকাজ (Rescue Operation) চালানো হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ সেকেন্দ্রাবাদের স্বপ্নলোক কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। শুরু হয় অগ্নিনির্বাপণের কাজ। কিন্তু ওই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ভিতরেও বেশ কিছুটা অংশে আগুন ছড়িয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকা বহু দোকান। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুন লাগার সময় ওই শপিং কমপ্লেক্সের ভিতরেই কমপক্ষে ১৩ জন আটকে পড়েন। তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে চারজনই মহিলা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে, তাদের সকলেরই বয়স ২২ বছর। তবে কী কারণে ওই শপিং কমপ্লেক্সে আগুন লাগে, তা এখনও জানা যায়নি।

দমকল বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। পরে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন পাঠানো হয় আগুন নেভানোর কাজে। ল্য়াডার, স্নরকেলও ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কমপ্লেক্সের ভিতরে প্রায় ২০০টি দোকান ছিল। এরমধ্যে অনেকগুলি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও কয়েকটি দোকান। অগ্নিকাণ্ডের পরে দমকল বিভাগ ও হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে কমপ্লেক্সটি আদৌই ভারসাম্যের দিক থেকে স্থিতিশীল রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কমপ্লেক্সের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের সময় শপিং কমপ্লেক্সের ভিতরে আটকে পড়ার কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এখনও অবধি নিখোঁজ চারজন। দমকলবাহিনীই ওই কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করেন আটকে থাকা মানুষদের। পাঁচজনকে গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর একজন আহতকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, পরে তাঁকেও গান্ধী হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নিহতদের শরীরের অধিকাংশ অংশই আগুন পুড়ে গিয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে যে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্য়াস তৈরি হয়েছিল, তা শরীরে প্রবেশ করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।