Rakesh Tikait: আইন প্রত্যাহারের পরও গলেনি বরফ, অধিবেশন শুরুর দিনেই ট্র্যাক্টর নিয়ে সংসদ অভিযানের ডাক দিলেন কৃষক নেতা
rakesh tikait, রাস্তা দিয়েই যাবে ট্র্যাক্টরগুলি। অনেক সময় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে আমরা রাস্তা অবরোধ করছি। আমরা কখনই রাস্তা বন্ধ করিনি।
নয়া দিল্লি: আগামী ২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরই সংসদের এই অধিবেশন সংসদীয় রীতি মেনে এই আইন বাতিল হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই সংসদ অভিযানের ডাক দিলেন কৃষক আন্দোলনের (Farmers’ Agitation) পরিচিত মুখ, কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। তিনি জানিয়েছেন, অধিবেশন শুরুর দিনেই কমপক্ষে ৬০ টি ট্র্যাক্টর সংসদের দিকে এগিয়ে যাবে। কৃষি আইন বাতিলের পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও কৃষকদের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল। মঙ্গলবার, সেই দাবি নিয়ে সংসদের উদ্দেশে ট্র্যাক্টর ব়্যালির কথা জানিয়েছেন টিকায়েত।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের (ANI) সঙ্গে কথা বলার সময় রাকেশ টিকায়েত বলেন, “রাস্তা দিয়েই যাবে ট্র্যাক্টরগুলি। অনেক সময় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে আমরা রাস্তা অবরোধ করছি। আমরা কখনই রাস্তা বন্ধ করিনি। রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনের পক্ষপাতী আমরা নই। সরকারে সঙ্গে কথা বলাই আমাদের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য। তাই আমরা সরাসরি সংসদেই যাব।”
গত ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জন্ম জয়ন্তীর দিন, খানিক আকস্মিকভাবেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Repealing Farm Laws) কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও কৃষকদের মন গলেনি, সংসদে আইন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া অবধি তারা যে পিছু হঠতে রাজি নয় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আজ ২৪ নভেম্বর, মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন মিলতে পারে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার এই বৈঠকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে আরও একধাপ এগোতে পারে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার।
মঙ্গলবার, টিকায়েত বলেন ৬০ টি ট্র্যাক্টরের পাশাপাশি হাজার জন সংসদের উদ্দেশে রওনা দেবেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যই তাদের এই সংসদ অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য। সংবাদ সংস্থাকে রাকেশ জানিয়েছেন, “কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের এই আন্দোলন চলছে। আন্দোলন চলাকালীন ৭৫০ জনের বেশি কৃষক নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। এই মৃত্যুর দায় সরকারের ওপরই বর্তায়।”
উল্লেখ্য, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর বিবৃতি প্রকাশ করে কৃষক সংগঠনগুলির প্রধান সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছিল, সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা স্বাগত জানালেনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি নিয়ে তাঁরা অনড় এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত আংশিক জয় হিসেবেই দেখেছিল কৃষক সংগঠন গুলি।