AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Opposition Letter to PM: কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতা-সহ ৯ বিরোধী নেতার

Central Agency Misuse: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও, আরজেডি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ইউবিটি নেতা উদ্ধব ঠাকরে, জেকেএনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।

Opposition Letter to PM: কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতা-সহ ৯ বিরোধী নেতার
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 6:10 PM
Share

নয়াদিল্লি: বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হেনস্থা করতে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনীতিক যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল বিরোধীরা। দেশের ৮টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেই এই চিঠি। মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো নেতারা বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর কী ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও, আরজেডি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ইউবিটি নেতা উদ্ধব ঠাকরে, জেকেএনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিরোধীদের সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “ভারত যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আশা করছি এ ব্যাপারে আপনি সহমত হবেন। কিন্তু বিরোদীদের উপরে কেন্দ্রীয় সংস্থার নির্লজ্জ অপব্যবহারের জেরে মনে হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে চলেছি।” এর পর মনীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই-এর গ্রেফতারির প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে চিঠিতে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির সমালোচনা করে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।

এর পরই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত তদন্ত বন্ধ হয়েছে সেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উল্লেখ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। নারদা মামলায় অভিযুক্ত হলেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে রয়েছে মুকুল রায়ের নাম। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ইডি ও সিবিআই। কিন্তু কংগ্রেস শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যেতেই তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত তদন্ত বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এর পাশাপাশি আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির আজম খান, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-র নবাব মালিক, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে কী ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তাড়িত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে সেই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

চিঠির বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রথম এবং শেষ এজেন্ডা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই। তা সংসদের ভিতরে হোক বা বাইরে। ইডি, সিবিআই নিয়ে অতীতেও সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মণীশ সিসোদিয়াকে যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাতে সই করেছেন।”