Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Noida: বিয়ের ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, যুবতীর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে থ পুলিশ

Noida: পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে নেহার বাবা ভানু রাঠোর ও হিমাংশু জানিয়েছেন, বুধবার ভোররাতে ঘুমন্ত নেহাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন তাঁরা। এবং সকাল ৭টার মধ্যে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রথমে পুলিশকে ভানু ও হিমাংশু জানিয়েছিলেন, নেহা অসুস্থ ছিলেন। তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Noida: বিয়ের ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, যুবতীর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে থ পুলিশ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 14, 2025 | 4:52 PM

নয়ডা: বাড়ির অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। বাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে খুন করল যুবতীকে। এমনকি, তড়িঘড়ি শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায়। যুবতীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত যুবতীর বাবা ও দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেইশের মৃত যুবতীর নাম নেহা। মঙ্গলবার গাজিয়াবাদের আর্য সমাজ মন্দিরে গিয়ে সুরজ নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। তারপর রেজিস্ট্রার অফিসে যান তাঁরা। সেইসময় নেহার দাদা হিমাংশুর কয়েকজন বন্ধু ২ জনকে দেখে ফেলে। তাঁরা হিমাংশুকে ঘটনাটি বলে। ডিসিপি শক্তিমোহন জানিয়েছেন, “বাড়ির লোককে নেহা বলে গিয়েছিলেন যে লাল কুয়ান এলাকায় পোশাকের দোকানে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, হিমাংশুর বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি আসতে বলা হয়। চিপিয়ানা গ্রামে বাড়িতে ফিরে আসার পর বাবা-দাদার সঙ্গে ঝগড়া হয় নেহার।”

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে নেহার বাবা ভানু রাঠোর ও হিমাংশু জানিয়েছেন, বুধবার ভোররাতে ঘুমন্ত নেহাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন তাঁরা। এবং সকাল ৭টার মধ্যে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রথমে পুলিশকে ভানু ও হিমাংশু জানিয়েছিলেন, নেহা অসুস্থ ছিলেন। তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে স্বীকার করে, ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করায় তাঁরা খুন করেছেন নেহাকে।

এই খবরটিও পড়ুন

জানা গিয়েছে, নেহা ও সুরজ হাপুরে একটি স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন। নেহা দশম শ্রেণি পাশ করার পর তাঁর পরিবার চিপিয়ানে চলে আসে। কিন্তু, সুরজের সঙ্গে নেহার যোগাযোগ রয়ে যায়। পরিবারের অমত সত্ত্বেও তাঁরা সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। মঙ্গলবার মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর বাড়ির ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসেন নেহা। তারপর থেকে নেহাকে অনেকবার ফোন করেছেন সুরজ। কিন্তু, ফোনে পাননি। এরপর তিনি নেহার এক প্রতিবেশীকে ফোন করেন। তখন ওই প্রতিবেশী জানান, নেহার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন করেছে পরিবার। তখনই ১১২ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে সব জানান পেশায় চালক সুরজ।