YouTuber arrested: পুলিশের জালে জ্যোতি ঘনিষ্ঠ ইউটিউবার, সীমান্তের তথ্য ISI-র কাছে পৌঁছে দিতে ছক দেখে থ তদন্তকারীরাও
YouTuber arrested: তিনবার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জসবীর সিং। ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, জ্যোতির মতোই পাকিস্তানে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের নিরাপত্তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন জসবীর। এই ইউটিউবারের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একাধিক এজেন্টের নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চণ্ডীগড়: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পুলিশের জালে আরও এক ইউটিউবার। ধৃতের নাম জসবীর সিং। পঞ্জাবের রূপনগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সেরাজ্যের পুলিশ। হরিয়ানার ধৃত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল জসবীরের। এমনকি, দিল্লিতে পাক দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃত এই ইউটিউবারের।
জসবীরের ইউটিউব চ্যানেলের নাম জানমহল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ইউটিউব চ্যানেল পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভ (PIO)-র টাকায় চালাতেন জসবীর। পিআইও-র অন্যতম মাথা সাকির ওরফে জাট রানধাওয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এই জসবীরের।
পঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব বলেন, “জসবীরের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য পাওয়ার পরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। তদন্তে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে পাক দূতাবাসে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জসবীর। দানিশের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।”

দিল্লিতে পাকিস্তান দূতাবাসের অনুষ্ঠানে জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে জসবীর সিং
তিনবার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন এই ইউটিউবার। ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, জ্যোতির মতোই পাকিস্তানে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের নিরাপত্তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন জসবীর। এই ইউটিউবারের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একাধিক এজেন্টের নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেফতার হওয়ার পর পাকিস্তানের সমস্ত এজেন্টের নম্বর এবং যোগাযোগের যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। পঞ্জাবের ডিজিপি জানান, জসবীরের বিরুদ্ধে স্টেট স্পেশাল অপারেশনস সেল (SSOC)-এ FIR দায়ের হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতি মালহোত্রার নেটওয়ার্কের অন্যতম মাথা ছিল এই জসবীর। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইউটিউব চ্যানেলের নাম করে ২০ থেকে ২২ বছরের বয়সের যুবকদের যুক্ত করা হত। এই কাজ করতেন জসবীর। তারপর তাঁদের দিয়ে সীমান্তে থাকা বিএসএফ এবং সেনাবাহিনীর যাবতীয় তথ্য কৌশলে নিজের কাছে নিয়ে আসতেন এই ইউটিউবার। তারপর পঞ্জাব সীমান্তের যাবতীয় তথ্য জ্যোতির হাতে পৌঁছে দিতেন। জ্যোতির থেকে সেইসব তথ্য পৌঁছে যেত দানিশের হাতে। সীমান্তের কী কী তথ্য পাচার করা হয়েছে এবং ওই ইউটিউবার নিজের নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাকে কাকে যুক্ত করেছেন জসবীর, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পঞ্জাব পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন।





