AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Class 12 Board Exam: পিছু নিয়েছিল ‘স্টকার’, দুর্ঘটনায় তিন-তিনটে অঙ্গ হানি! তারপরও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট

Board Exam of Uttar Pradesh: কয়েক মাস আগেই এক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটো পা, একটা হাত কাটা গিয়েছিল উত্তর প্রদেশের বরৈলির বাসিন্দা প্রিয়ার। কিন্তু হার মানেননি। সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে উত্তর প্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় চমকপ্রদ রেজাল্ট করেছেন তিনি।

Class 12 Board Exam: পিছু নিয়েছিল 'স্টকার', দুর্ঘটনায় তিন-তিনটে অঙ্গ হানি! তারপরও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট
তাক লাগানো সাফল্য প্রিয়ারImage Credit: ANI
| Updated on: May 13, 2024 | 10:26 PM
Share

দুটো পা নেই। বাঁ হাতের কনুইয়ের পরের অংশও নেই। শরীরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি। কিন্তু কোনওকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি বছর সতেরোর প্রিয়াকে। মনের মধ্যে এক অদম্য জেদ। এক হার না মানা লড়াই। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগেই এক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটো পা, একটা হাত কাটা গিয়েছিল উত্তর প্রদেশের বরৈলির বাসিন্দা প্রিয়ার। কিন্তু হার মানেননি। সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে উত্তর প্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় চমকপ্রদ রেজাল্ট করেছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের ফতেগঞ্জে চন্দ্রপ্রকাশ মেমোরিয়াল ইন্টারকলেজ থেকে বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের অক্টোবরে। ১০ অক্টোবর। সেটা ছিল প্রিয়ার জন্মদিন। NEET-এর প্রস্তুতির কোচিং থেকে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছেই একটি রেল লাইন রয়েছে। সেই রেল লাইন পেরিয়েই রোজ যাতায়াত করতেন প্রিয়া। সেদিন এক যুবক, যে দীর্ঘদিন ধরে প্রিয়াকে ‘স্টক’ করছিল, সে পিছু নিয়েছিল ওই কিশোরীর। একটু কথা-কাটাকাটিও হয়েছিল দু’জনের। আর এ সবের মধ্যেই ওই যুবক প্রিয়াকে রেল লাইনে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। দুর্ঘটনায় শরীরের তিনটি অঙ্গ বাদ পড়ে প্রিয়ার।

সেই দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি কড়া পদক্ষেপ করেছিল উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এক এসএইচও-সহ তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বরৈলির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার ও এসএসপি সুশীল চন্দ্রভান ঘুরে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন প্রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। প্রিয়ার চিকিৎসার সব খরচ বহন করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। অভিযুক্ত বিজয় মৌর্যকে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে নিয়েছিল পুলিশ।

কিন্তু এসবের পরও প্রিয়ার মনের মধ্যে যে অদম্য জেদ ছিল, সেটাই তাঁকে আবার জীবনের স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। জানা যাচ্ছে, তাঁর নম্বর নিয়ে খুশি নন প্রিয়া। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কয়েক মাস পরেই বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। হাতে প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় ছিল না। তার মধ্যে তিন মাস হাসপাতালের বেডে শুয়েই কেটে যায়। প্রিয়া মনে করেন, শেষ বেলার প্রস্তুতির ওই তিন মাস যদি তাঁর নষ্ট না হত, তাহলে হয়ত তিনি পরীক্ষায় প্রথম হতে পারতেন।