সিমলা: ঠোটকাটা স্বভাবের জন্য তিনি বরাবরই পরিচিত। বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে যেমন সুর চড়িয়েছেন, তেমনই এখন রাজনীতির ময়দানে নেমেও বিরোধীদের চাঁচাছোলা আক্রমণ করতে ছাড়লেন না কঙ্গনা রানাউত। ফারুক আবদুল্লার ‘পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই’ মন্তব্যের পাল্টা জবাবে কঙ্গনা বললেন, “যদি পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে না থাকে, তবে আমরাই চুড়ি পরিয়ে দেব।”
চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি থেকে প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের মতো জোরকদমে প্রচারও চালাচ্ছেন। এবার পাকিস্তান ইস্যু নিয়েও বিরোধীদের এক হাত নিলেন কঙ্গনা।
সম্প্রতিই প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন বলেছিলেন যে ভারত কখনও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর থেকে নিজেদের দাবি প্রত্যাহার করবে না, তখন জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, “পাকিস্তানও চুড়ি পরে বসে নেই”। এরপর কংগ্রেস নেতা মণি শঙ্কর আইয়ারের একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে ভারতের পাকিস্তানকে সম্মান করা উচিত, কারণ তাদের কাছে অ্যাটম বম্ব আছে।
বৃহস্পতিবার কুলুতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কঙ্গনা এই ইস্যু নিয়েই বিরোধীদের এক হাত নেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি পাকিস্তানের আটার দরকার, বিদ্যুতের দরকার। তবে আমরা এটা জানতাম না যে ওদের কাছে চুড়িও নেই। ওরা (বিরোধী) বলে, পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই…আরে ভাই, যদি না পরে থাকে তো আমরা পরিয়ে দেব…।”
কুইন খ্যাত অভিনেত্রী আরও বলেন যে ভারত অস্থির সরকার না, স্থিতিশীল সরকার চায়। একজন ভীতু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বল কংগ্রেসকে চায় না সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পাকিস্তানকে চুড়ি পরানোর কথা বলেছেন। বিহারের মুজাফ্ফরপুরে একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, “পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই। আরে ভাই আমরা পরিয়ে দেব। ওদের এখন আটাও চাই, বিদ্যুতও নেই। এবার আমরা জানি না যে চুড়ি আছে কি না।”