AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahua Moitra: ‘…তোদের চিতা আমি তুলবই’, বহিষ্কৃত হয়েই সুকান্তর কবিতায় মহুয়ার হুঙ্কার

Mahua Moitra's Expulsion from Parliament: মহুয়া বলেন, "আমি লোকসভার সংসদীয় ইমেইল আইডি ভাগ করে নিয়েছি, শুধু তার ভিত্তিতে আমাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের নিয়মে ইমেইল আইডি নিয়ে কোনও নিয়ম নেই। যদি মোদী সরকার ভাবে আমার সংসদ পদ খারিজ করে আদানি ইস্যু নিয়ে চুপ করানো যাবে, তবে আমি বলছি শুনুন, এই ক্যাঙারু কোর্ট প্রমাণ করল, কীভাবে আইনের অপব্যবহার করা হল, আদানি আপনাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে একজন মহিলা সাংসদকে হেনস্থা করা হল।"

Mahua Moitra: '...তোদের চিতা আমি তুলবই', বহিষ্কৃত হয়েই সুকান্তর কবিতায় মহুয়ার হুঙ্কার
বহিষ্কৃত হওয়ার পর মহুয়া মৈত্র।Image Credit: ANI
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2023 | 9:52 AM
Share

নয়া দিল্লি: প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) এবং কৃষ্ণনগর সাংসদবিহীন। শুক্রবার দুপুরের পর এটাই বাস্তব। এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) সুপারিশ মেনেই ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার (Mahua Moitra’s Expulsion from Parliament) করা হয়েছে। আর সাংসদ পদ খোয়ানোর পর সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রণংদেহী মহুয়া। সুকান্ত ভট্টাচার্য থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা উদ্ধৃত করে ঝলসে উঠতে দেখা যায় কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদকে।

এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, “দর্শন হিরানন্দানিকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়নি। আমার প্রাক্তন সঙ্গী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে দোষী বানানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে টাকার বিনিময়ে সংসদে আমি প্রশ্ন করেছি। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর হলফনামায় বলা হয়েছে যে আমি নাকি ওনাকে চাপ দিয়েছিলাম নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই প্রশ্ন করতে। দুই অভিযোগের মধ্যে দূর-দূরান্তে কোনও মিল নেই। এথিক্স কমিটি গভীরে গিয়ে তদন্ত না করেই আমায় ফাঁসিতে চড়িয়েছে। অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর বয়ানই শুনতে চায়নি এথিক্স কমিটি। কোনও প্রমাণ নেই টাকা বা অন্য কোনও উপহার  নেওয়ার।”

মহুয়া আরও বলেন, “আমি লোকসভার সংসদীয় ই-মেইল আইডি ভাগ করে নিয়েছি, শুধু তার ভিত্তিতে আমাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের নিয়মে ই-মেইল আইডি নিয়ে কোনও নিয়ম নেই। যদি মোদী সরকার ভাবে আমার সংসদ পদ খারিজ করে আদানি ইস্যু নিয়ে চুপ করানো যাবে, তবে আমি বলছি শুনুন, এই ক্যাঙারু কোর্ট প্রমাণ করল, কীভাবে আইনের অপব্যবহার করা হল, আদানি আপনাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে একজন মহিলা সাংসদকে হেনস্থা করা হল। আগামিকাল আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হবে। ওরা আমায় ৬ মাস ধরে হেনস্থা করবে। কিন্তু আমি প্রশ্ন করছি, আদানির ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কী হল যা ইডি-সিবিআই এখনও তদন্ত করে উঠতে পারল না? আমি নাকি জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছি লগ ইন আইডি শেয়ার করে। আদানি আমাদের সমস্ত বন্দর, বিমানবন্দর কিনে নিচ্ছে। আদানির শেয়ারহোল্ডাররা সকলেই বিদেশি প্রতিষ্ঠান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে অনুমতি দিচ্ছে।”

এদিন রমেশ বিদুরী-দানিশ আলি প্রসঙ্গ তুলেও মহুয়া মৈত্র বলেন, “সংখ্য়ালঘু ২৬ জন সাংসদের মধ্যে একমাত্র মুসলিম সাংসদ দানিশ আলি। বিজেপি ৩০০ সাংসদের মধ্যে একজনও মুসলিম সাংসদ নেই। রমেশ বিদুরী সংসদে উঠে তাঁকে বলেন, এই ভারওয়া, এই কাটওয়া…তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আপনারা সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেন। মহিলাদের আক্রমণ করেন। নারীশক্তিকে সহ্য় করতে পারেন না। আমি ৪৯ বছর বয়সী। আগামী ৩০ বছর আমি আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ব”। এরপরই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেন, “আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/
স্বজনহারানাে শ্মশানে তােদের চিতা আমি তুলবই।”  এখানেই শেষ নয়, জাতীয় সঙ্গীত উদ্ধৃত করেও তাঁকে বলতে শোনা যায় পঞ্জাব, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ- কোথাও বিজেপি ক্ষমতায় নেই। তাহলে কোথায় শাসন করবেন তাঁরা? কোথা থেকে পান এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা? এথিক্স কমিটির যে কোনও অধিকার নেই সাংসদ পদ খারিজ করার, এদিন সেকথাও বারবার বলেন মহুয়া। তাঁকে বহিষ্কারের এই ঘটনাই বিজেপির বিনাশের শেষ দাবি করে প্রত্যয়ের সঙ্গে তিনি আবার ফিরে আসবেন বলেও জানান মহুয়া।