‘সবাইকে মেরে ফেলব’, সীমানা সংঘর্ষে বির্তকিত মন্তব্য মিজোরামের সাংসদের, জেরা করবে অসম পুলিশ

বিতর্কিত এই মন্তব্যের পরই গতকাল বিকেলে অসম পুলিশের এক আধিকারিক টুইট করে জানান, রাজ্যসভার সাংসদ কে ভানলালভেনার উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গোটা চক্রান্ত নিয়ে তদন্ত করা হবে।

'সবাইকে মেরে ফেলব', সীমানা সংঘর্ষে বির্তকিত মন্তব্য মিজোরামের সাংসদের, জেরা করবে অসম পুলিশ
সাংসদ কে ভানলালভেনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 7:31 AM

গুয়াহাটি: সীমানা সংঘর্ষে এ বার জড়াল মিজোরামের রাজ্যসভার সাংসদের নামও। সোমবার অসম-মিজোরাম সীমানায় দুই রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বাধে, তাতে মিজোরামের সাংসদ কে ভনলালভেনার ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি অসম পুলিশের। এই বিষয়ে তারা ওই সাংসদকে জিঞ্জাসাবাদ করতে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানান।

রবিবার রাতে সীমানাবর্তী গ্রামের আট কৃষকের বাডি জ্বালিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই রাজ্য়ের মধ্যে যে বিবাদ বাধে এবং ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, তার জেরে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল দুই পক্ষের পুলিশই। ঘটনায় ৭ পুলিশকর্মী সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৫০-রও বেশি। অসম পুলিশের অভিযোগ, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিতই ছিল এবং মিজোরামের ওই সাংসদেরও ভূমিকা রয়েছে এতে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সংসদভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ওই সাংসদ বলেন, “২০০-রও বেশি পুলিশ আমাদের রাজ্য়ের সীমানায় প্রবেশ করেছিল এবং তারা আমাদের পুলিশকর্মীদের পোস্ট থেকে সরিয়ে দেয়। ওরাই প্রথম গুলি চালানোর অর্ডার দিয়েছিল। ওই পুলিশকর্মীরা ভাগ্য়বান যে আমরা ওদের সকলকে মেরে ফেলিনি। যদি আবার আসে, তবে সবাইকে খতম করা হবে।”

বিতর্কিত এই মন্তব্যের পরই গতকাল বিকেলে অসম পুলিশের এক আধিকারিক টুইট করে জানান, রাজ্যসভার সাংসদ কে ভানলালভেনার উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গোটা চক্রান্ত নিয়ে তদন্ত করা হবে। সেদিনের হিংসার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের একাধিক ছবিও পেয়েছে অসম পুলিশ এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।  যদি হামলাকারীদের খোঁজ দিতে পারে কেউ, তবে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে, বুধবার অসম ও মিজোরামের মুখ্যসচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এখন থেকে বিতর্কিত জমিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও সর্বক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সিএপিএফ-র তত্ত্বাবধানে এই বাহিনী কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে। আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের ৪০ শতাংশই রাজ্য থেকে, তৃতীয় ঢেউয়ের সূচনাও কি কেরল থেকেই?