বাড়তে পারে পাইলট ক্যাম্পের দর, রবিবারের বৈঠকে মন্ত্রিত্বও খোয়াতে পারেন অনেকে!
Rajasthan Congress Meeting: গত বছরই সচিন পাইলট ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। দলের অন্দরে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ এতটাই বেড়েছিল যে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন সচিন পাইলট।
নয়া দিল্লি: দীর্ঘ চেষ্টার পর কিছুটা হলেও বরফ গলানো সম্ভব হয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে। এ বার পালা অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও সচিন পাইলটের (Sachin Pilot)। কারণ ক্যাপ্টেন-সিধুর মতোই দলের ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটের মধ্যেও।
সূত্র অনুযায়ী, রাজস্থান কংগ্রেসের প্রধান গোবিন্দ সিং দোতাস্রা রবিবারই দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন। উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গোহলট ও সচিন পাইলটও। শনিবারই রাজ্যে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কেসি বেণুগোপাল ও রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজয় মাকেনও। যদিও গোবিন্দ সিং নিজেই এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, অজয় মাকেন ও কেসি বেণুগোপালকে রাজ্যে স্বাগত জানানোর জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে পাইলট ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব জায়গা দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রিত্ব খোয়াতেও পারেন অনেকে।
গতকালই জয়পুরে পৌঁছনোর কেসি বেণুগোপাল ও অজয় মাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে নৈশভোজে দেখা করেন। রাত আড়াইটে অবধি চলে সেই বৈঠক। সূত্র অনুযায়ী, সেই বৈঠকে দলীয় সদস্যদের সক্রিয়তা ও কার্যক্ষমতা যাচাই করেই মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং জেলা সভাপতি নিয়োগ করা হবে। আজকের বৈঠক সফল হলে আগামী ২৭ বা ২৮ জুলাইয়ের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গত বছরই সচিন পাইলট ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। দলের অন্দরে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ এতটাই বেড়েছিল যে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন সচিন পাইলট। সেই সময় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সচিন পাইলটকে বুঝিয়েছিলেন এবং যাবতীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
গত মাসেও দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন সচিন পাইলট। সেই সময়ও তাঁকে আর কিছুদিন ধৈর্য্য ধরার কথা বলা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহেই সচিন পাইলট নিজেই ইঙ্গিত দেন যে শীঘ্রই তাঁর উল্লেখ করা সমস্যাগুলি সমাধানের কাজে নামবে শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সমস্ত দায়িত্ব শীর্ষ নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ৩০ আসনের মন্ত্রিসভায় এখনও নয়টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এই শূন্যস্থানগুলি পূরণের জন্যই আজকের বৈঠক। আরও পড়ুন: বন্যা ও ধসে ব্যাপক বিপর্যয়, ৯ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু