দেশ: ভারতে হাজার থেকে এবার লাখের গণ্ডির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। আর এই আবহে কী ভাবে হবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করল নির্বাচন কমিশন।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে, বৃহস্পতিবার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ECI) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেন। সরকারি সূত্রে খবর, এই আলোচনায় ছিলেন এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া এবং আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণও।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে করোনা পরিস্থিতিতে ভোট কী ভাবে হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা মূলক আলোচনা হয়। নির্বাচনের সময় ভোটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতেই এই বৈঠক বলে সরকারি সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যাতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার ও ভোটকর্মীদের টিকাকরণ ১০০ শতাংশ হয়ে যায়। তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। সরকারি সূত্রে খবর, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপাদাপির মধ্যে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা রেখে কী ভাবে ভোট করা যায় এ নিয়ে আলোচনা হয় তাঁর সঙ্গে।
ওই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আরও পরামর্শমূলক রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশন। ভোট প্রচারের সময় থেকে ভোট গ্রহণ হয়ে ভোটগণনা, সব জায়গায় কোভিড প্রোটোকল কী ভাবে আরও উন্নত করা যায়, কী ভাবে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা যায়, এ নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতামত চাওয়া হয়। তার পরেই এই বৃহস্পতিবারের বৈঠক হল।
প্রসঙ্গত, গোয়া, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুর বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট শীঘ্রই প্রকাশ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। মার্চ মাসেই ওই চার রাজ্যে ভোট হবে বলে খবর। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের ভোট প্রক্রিয়া শেষ করা হবে মে মাসের মধ্যেই।
এদিকে দেশে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। করোনা আবহে ভোট কতটা যুক্তিযুক্ত এ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন: WHO On Corona: ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি, বিশ্বব্যাপী করোনা বেড়েছে ৭১%, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল হু