AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

WHO On Corona: ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি, বিশ্বব্যাপী করোনা বেড়েছে ৭১%, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল হু

WHO: নতুন করে করোনায় মৃত্যুতে সবচেয়ে আগে রয়েছে ভারত। ২,০৮৮ টি নতুন মৃত্যুর খবর মিলেছে।

WHO On Corona: ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি, বিশ্বব্যাপী করোনা বেড়েছে ৭১%, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল হু
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2022 | 11:13 AM
Share

বিশ্ব: করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) আসার পর বিশ্বব্যাপী হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি, এই কয়েক দিনের ব্যবধানেই বিশ্বব্যাপী ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা কেসের সংখ্যা! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এমন ভয়াবহ আকারে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনই।

তবে এর মধ্যে একটা ভাল খবরও শুনিয়েছে হু। সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। করোনায় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা আগের চেয়ে ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী:

এপিডেমিওলজিক্যাল আপডেটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তা গত ডিসেম্বরে একেবারে উর্ধ্বমুখী হয়। তার পর ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সংক্রমণ হার কার্যত রেকর্ড গড়েছে। শেষে দেখা যায়, গত সপ্তাহগুলির চেয়ে ৭১ শতাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে সারা বিশ্বে।

করোনায় মৃত্যু কমেছে:

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যুহার কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় নতুন করে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে প্রায় ৯৫ লক্ষ নতুন করোনা কেসে মৃত্যু হয়েছে কমবেশি ৪১ হাজার মানুষের।

কোন অঞ্চলে করোনার দাপাদাপি কেমন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ইউরোপীয় দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তার পরে রয়েছে আমেরিকা। তবে বিগত কয়েক দিনে এই দুই মহাদেশে সবচেয়ে বেশি করোনায় মৃত্যুও হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকা মহাদেশে করোনায় সাপ্তাহিক মৃত্যু সবচেয়ে বেশি (২২ শতাংশ)। অন্যান্য অঞ্চলে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমছে।

ভারতের অবস্থা কেমন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসের শেষ থেকে সাপ্তাহিক করোনা সংক্রমণ আস্তে আস্তে নামছিল, সে জায়গায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ৭৮ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। মৃত্যু হার নীচের দিকে থাকলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফ।

তবে নতুন করে করোনায় মৃত্যুতে সবচেয়ে আগে রয়েছে ভারত। ২,০৮৮ টি নতুন মৃত্যুর খবর মিলেছে। যদিও আগের চেয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যুহার এখন ৮ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে হু। ভারতের পর রয়েছে থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, যাঁদের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন কম ক্ষতিকারক হিসাবে দেখা দিলেও একে মোটেই মৃদু বা মাইল্ড হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না। তিনি যোগ করেন, ‘অন্য ভ্যারিয়েন্টদের মতো ওমিক্রনও মানুষকে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করছে, এমনকী মানুষ মারছেও। আসলে এত তাড়াতাড়ি এবং বিশাল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন যে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর চাপ বাড়ছে’।

আরও পড়ুন: WHO on Omicron: ‘ডেল্টার মতো বিপজ্জনক না হলেও ওমিক্রন মৃদু নয়,’ ফের সাবধানবাণী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার