PM Security Breach: সেদিন কী ঘটেছিল? প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পঞ্জাব সরকারের
Punjab Government: পঞ্জাবের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনাক্রমের বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অমিত শাহের মন্ত্রকে।
দেশ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ফিরোজপুর সফরে নিরাপত্তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (এমএইচএ) কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিল পঞ্জাব সরকার।
পঞ্জাবের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনাক্রমের বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অমিত শাহের মন্ত্রকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনরত কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির কনভয় মাঝ পথে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শামিল। এই ঘটনার পরই তোলপাড় পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। পঞ্জাবের কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে অনেকেই দাবি করেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পঞ্জাব পুলিশ ও কৃষকরা একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষতির চেষ্টা করেছেন। একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও নিন্দা করে রিপোর্ট তলব করে। তার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠাল পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার।
সূত্রের খবর, আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েবন করেছিল বলরে জানায় পঞ্জাব সরকার। তবে তার পরেও ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ আন্দোলনের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি চন্নি সরকারের রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের দাঁড়িয়ে যাওয়া, এবং পরে তাঁর ফিরে আসতে বাধ্য হওয়ার ঘটনাকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ৫ জানুয়ারি পঞ্জাবের ফিরোজ়পুর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা এবং নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দলও তৈরি করেছে।
এদিকে এই পুরো ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ‘জীবনহানির’ আশঙ্কা ছিল একটা গিমিক। আর এর উদ্দেশ্য হল পঞ্জাব রাজ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা।
চরণজিৎ চন্নির মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের একজন সম্মানীয় নেতা। কিন্তু এই জাতীয় সস্তা নাটকে লিপ্ত হওয়া তাঁর মর্যাদার কোনও নেতার পক্ষেই সমীচীন নয়”। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, নিরাপত্তার কোনও ফাঁকফোঁকর ছিল না। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন সভায় লোক ছিল না বলে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ করেছেন যে তিনি বলেন, সমাবেশস্থলে খালি চেয়ার দেখে মন ভার হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর। এই কারণে “নিরাপত্তার কারণ” উল্লেখ করে রাজধানীতে ফিরে গিয়েছেন।