‘জবাব দেওয়া স্বভাবে নেই’, তাও কোভিড মোকাবিলায় মোদীকে ৯ দফা পরামর্শ বিরোধীদের

দেশজুড়ে সবার জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ এবং ভ্যাকসিন নীতিতে বদল আনার আবেদন জানিয়ে একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল বিরোধী দলগুলি।

'জবাব দেওয়া স্বভাবে নেই', তাও কোভিড মোকাবিলায় মোদীকে ৯ দফা পরামর্শ বিরোধীদের
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 11:09 PM

কলকাতা: দেশে ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে, এ কথা এখন আর অজানা নয়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার তা মানতে নারাজ। কীভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিয়ে রাজনৈতিক শিবিরগুলি থেকে পৃথকভাবে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি নেতারা সেই পরামর্শকে ‘বিরোধীদের রাজনীতি’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন। এ বার দেশজুড়ে সবার জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ এবং ভ্যাকসিন নীতিতে বদল আনার আবেদন জানিয়ে একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল বিরোধী দলগুলি।

কে নেই সেই চিঠি লেখার তালিকায়? কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সর্বভারতীয় সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, ফারুক আবদুল্লাহ, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব-সহ আরও অনেকে। মূলত ৯ দফা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেখানে যেমন ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে নীতি পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তেমনই সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ বন্ধ রেখে সেই টাকা ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেনের কাজে ব্যবহার করার আবেদন জানানো হয়েছে।

চিঠির শেষে আবার খোঁচার সুরে বিরোধীরা লিখেছেন, “যদিও চিঠির উত্তর দেওয়া আপনার সরকার বা দফতরের স্বভাবে নেই, তাও দেশ এবং জনগণের স্বার্থে যদি আমাদের পরামর্শের কোনও জবাব দেন তবে স্বাগত জানাব।”

আরও পড়ুন: ‘দেশ আগে’, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা নিশীথ-জগন্নাথের, বসে দেখলেন পার্থ-পরেশ

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ৯ দফা আবেদনে কী কী আর্জি জানিয়েছে বিরোধীরা…

১. শুধু দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের ভরসায় থাকলে হবে না। দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভ্যাকসিন আমদানি করতে হবে।

২. অবিলম্বে গোটা দেশে নিখরচায় সার্বজনিন গণ-টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে হবে।

৩. দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে অন্যান্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকেও ছাড়পত্র দিতে হবে।

৪. টিকাকরণের জন্য বাজেট থেকে ন্যূনতম ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে।

৫. রাজধানীর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে সেই টাকা অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য খরচ করতে হবে।

৬. পিএম কেয়ার্সে থাকা সমস্ত অডিট না হওয়া অর্থ এখনই কোভিড মোকাবিলায় খরচ করতে হবে।

৭. দেশের সমস্ত বেকারদের মাসে কমপক্ষে ৬০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করা হোক।

৮. ১ কোটি টনের বেশি খাদ্য শষ্য কেন্দ্রের গোডাউনে পচছে। অনাহারে থাকা সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা হোক।

৯. দেশের লক্ষ লক্ষ অন্নদাতা যাতে খাদ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য কৃষি আইন বাতিল করুন।

আরও পড়ুন: বাংলার মাটিতে তৈরি হোক ভ্যাকসিন, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও আহ্বান মমতার