‘দেশ আগে’, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা নিশীথ-জগন্নাথের, বসে দেখলেন পার্থ-পরেশ
রাজনৈতিক মহলে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই সময়েই কেন স্পিকারের ঘরে ঢুকলেন শাসক শিবিরে দুই মন্ত্রী!
কলকাতা: জল্পনা সত্যি করে অবশেষে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির দুই নির্বাচিত বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। এ দিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে প্রথামাফিক পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন দিনহাটা এবং শান্তিপুরের বিধায়ক। পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসে তাঁরা জানান, যেহেতু একসঙ্গে সাংসদ এবং বিধায়ক থাকা যায় না, সেই কারণে দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশেই তাঁরা এই পদত্যাগ করেছেন। ফলে রাজ্যে ৭৭ থেকে কমে ৭৫ হল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে সময় তাঁরা ইস্তফা দিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে হাজির হন, সেই সময় ওই ঘরে গিয়ে ঢোকেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। পদত্যাগ পর্বে স্পিকারের কক্ষেই বসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারীকেও ঢুকতে দেখা যায়। ফলে রাজনৈতিক মহলে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই সময়েই কেন স্পিকারের ঘরে ঢুকলেন শাসক শিবিরে দুই মন্ত্রী!
আরও পড়ুন: ‘টাকা নয়, শাস্তি চাই’, ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ চায় না ঋষভের পরিবার
যদিও আজকেই ইস্তফার জেরে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ দিন পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় নিশীথ এবং জগন্নাথ জানান, ‘দেশ আগে।’ তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁরা পদত্যাগ করছেন। যদিও তাঁদের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা খোঁচার সুরে বলেছেন, “দিনহাটা এবং শান্তিপুর কি দেশের বাইরে?” অন্যদিকে পদত্যাগ করলেও দলবদলের কোনও জল্পনা নেই বলেই এ দিন দাবি করেছেন কোচবিহার এবং রানাঘাটের সাংসদ।