করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী, ৯৩ শতাংশই নিয়েছিলেন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়!
শুধু পুলিশকর্মীরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি মোট ৭৫১ জন পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেহরাদুন: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে নিজেদের আড়াল করতে পারেননি পুলিশ কর্মীরাও। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দুই হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশ্চক্যজনক বিষয় হল, এদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হন।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে মে মাসে রাজ্যে মোট ২ হাজার ৮৩২ জন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ২ হাজার ২০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের কো-মর্ডিবিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি তিনজন করোনা টিকা নেননি বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশকর্মীদের মধ্যে ব্যপক হারে করোনা সংক্রমণের কারণ জানতে চাওয়া হলে উত্তরাখণ্ডের ডিআইজি তথা প্রধান মুখপাত্র নীলেশ আনন্দ ভারনে জানান, বহু পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেও তার গুরুতর আকার ধারণ করেনি এবং মৃতের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তাছাড়া করোনা টিকা নিলেই যে আর সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, এই গ্যারান্টি তো টিকা প্রস্তুতকারকরাও দিতে পারেননি।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছিল, সেই সময় কুম্ভ মেলা আয়োজন করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। কুম্ভমেলায় ভিড় সামলানোর দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “কুম্ভ মেলার সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।”
তবে শুধু পুলিশকর্মীরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি মোট ৭৫১ জন পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট ও মাসিক ভাতা, করোনায় অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নেবে মহারাষ্ট্র সরকার