চণ্ডীগড়: কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব আর ঘরের ভিতরে আটকে নেই। হাত শিবিরের সংসারের ভাঙন এখন সর্ব এবং জনসমক্ষে। পঞ্জাব কংগ্রেসের টালমাটাল পরিস্থিতি যেন সে দিকেই আরও বেশি করে ইঙ্গিত করছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তবে তাঁর প্রত্যক্ষ নিশানায় সোনিয়া গান্ধী নন, ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ভাই-বোনের ‘পছন্দের মানুষ’ নভজ্যোত সিং সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে আটকাতে যা করার করার দরকার হয় তিনি তাই করবেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা এখনও ‘অনভিজ্ঞ’, এবং তাঁদের ভুল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগেই সোনিয়া গান্ধীর কাছে যখন তিনি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, তখন দলের চেয়ারপার্সন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। যেভাবে তাঁকে বাদ দিয়েই পঞ্জাবের বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়। এবং শেষ পর্যন্ত সিধু ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চরণজিৎ সিং চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন দেওয়া হয়। যা অপমানসূচক বলে জানিয়েছেন অমরিন্দর।
রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, দু’জনকেই নিজের ‘সন্তানসম’ বলে উল্লেখ করলেও তাঁদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা। অমিরন্দর বলেন, “রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা আমার সন্তানের মতো। কিন্তু যেভাবে সব শেষ হল সেটা উচিত হয়নি, আমি মর্মাহত। বাস্তবে গান্ধী ভাই-বোন অনভিজ্ঞ এবং তাঁদের পরামর্শদাতা তাঁদের ভুল পথে চালিত করছে।”
‘@priyankagandhi & @RahulGandhi are like my children…this should not have ended like this. I’m hurt. Fact is the Gandhi siblings are inexperienced & their advisors are clearly misguiding them’: @capt_amarinder @INCIndia pic.twitter.com/1XxwGbpKBG
— Raveen Thukral (@RT_Media_Capt) September 22, 2021
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: ভবানীপুরে ‘খেলবেন’ মমতা-প্রিয়াঙ্কা, কিন্তু নির্ণায়ক ‘গোল’ দিতে পারে এই দুই ওয়ার্ড
নভজ্যোত সিং সিধুকে পঞ্জাবের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন অমরিন্দর। এই ধরনের মানুষের থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে তিনি যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারেন। এই বলে ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, ২০২২ সালের শুরুতেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে যাতে সিধুর হার নিশ্চিত করা যায়, সেই জন্য তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী দেবেন। যদিও সেই প্রার্থী কোন দলের হয়ে লড়বে, তা তিনি Aজানাননি। খেদের সুরে ক্যাপ্টেন বলেন, “আমি জিতে জায়গা ছাড়তে রাজি ছিলাম, হেরে নয়। সোনিয়াজি যদি আমায় ফোন করে বলতেন ছেড়ে দাও, আমি ছেড়ে দিতাম। (দলের) একজন সৈন্য হিসেবে আমি জানি কী ভাবে কাজ করতে হয় এবং নির্দেশ এলে ছেড়ে যেতে হয়।”
আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ‘আপনার একটা ভোট না পেলে ক্ষতি হয়ে যাবে আমার’, স্নায়ুর চাপে ভুগছেন মমতা?