AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amit Shah on Muslim Population: কমছে হিন্দু, বাড়ছে মুসলিম! জন্মহার নয়, যুক্তি ধরে ‘আসল কারণ’ বোঝালেন শাহ

Amit Shah on Demography: সমস্যা যেমন রয়েছে, সমাধানও রয়েছ। শাহের কথায়, জনসংখ্যার এই বৈষম্য ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জনগণনায় ধরা পড়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা রুখতে তিনটি ধাপে শুরু হয়েছে অনুপ্রবেশদমন প্রক্রিয়া। শাহের কথায়, 'কেন্দ্র অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে, সব শেষে তাঁদের আবার নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।'

Amit Shah on Muslim Population: কমছে হিন্দু, বাড়ছে মুসলিম! জন্মহার নয়, যুক্তি ধরে 'আসল কারণ' বোঝালেন শাহ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহImage Credit: PTI
| Updated on: Oct 11, 2025 | 10:17 PM
Share

নয়াদিল্লি: মাঝে ব্য়বধান প্রায় দু’মাসের। যে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা যেন ‘রূপ পেল’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে। অনুপ্রবেশকে দেশের ডেমোগ্রাফি ‘বদলের’ অণুঘটক হিসাবে দাগালেন তিনি। বরাবরই যে বিতর্ক বিবাদে লিপ্ত করেছে কেন্দ্র ও এই রাজ্যকে।

স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে দেশের ডেমোগ্রাফি ‘বদলের’ কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুপ্রবেশকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেই একই প্রসঙ্গ শোনা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখেও। দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্য়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে হওয়া অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন তিনি।

কী বললেন শাহ?

সংবাদসংস্থা পিটিআই-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লির ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ বললেন, ‘এই দেশে হিন্দুদের সংখ্য়া কমার নেপথ্যে ধর্মান্তরের কোনও বিশেষ ভূমিকা নেই। অন্যদিকে মুসলিম জনসংখ্য়া বৃদ্ধির কারণ আবার মোটেই বাড়ন্ত জন্মহার নয়। বরং, বিরাট সংখ্যায় অনুপ্রবেশ।

এরপরেই একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের মুসলিমদের সংখ্য়া ২৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে হিন্দু জনগণের সংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ। এমন ভাববেন না যে দেশে ধর্ম নির্বিশেষে জন্মহার কমছে। বরং অত্যাধিক অনুপ্রবেশের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশভাগের পর পাকিস্তান দুই দিকেই ধর্মের ভিত্তিতে দেশ গড়েছিল। এবার সেই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এই দেশে ঢুকে পড়ছে।’

সমস্যা যেমন রয়েছে, সমাধানও রয়েছ। শাহের কথায়, জনসংখ্যার এই বৈষম্য ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জনগণনায় ধরা পড়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা রুখতে তিনটি ধাপে শুরু হয়েছে অনুপ্রবেশদমন প্রক্রিয়া। শাহের কথায়, ‘কেন্দ্র অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে, সব শেষে তাঁদের আবার নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’

শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েছে SIR-র কথাও তুলে ধরেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশজুড়ে সময় অন্তর ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা করা কমিশনের দায়িত্ব। যদি ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের নাম থাকে, তা হলে তারা ভারতের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অংশ হয়ে যাবেন। যা কখনওই কাম্য নয়। গণতন্ত্র এই ভাবে চলতে পারে না।’ অবশ্য শাহের এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বলেই দাগিয়েছে কংগ্রেস। অনুপ্রবেশকে ইস্যু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের অভ্য়ন্তরীণ সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন বলেই মত প্রধান বিরোধী দলের। এদিন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই বলেন, ‘দেশজুড়ে সমস্যার পাহাড় তৈরি হয়েছে, তাই কি আপনি জনগণকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত হয়েছেন?’