Anganwadi workers: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও গ্র্যাচুইটির সুবিধা পাওয়ার অধিকারী, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court Of India: শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। উপভোক্তাদের সনাক্তকরণ, পুষ্টিকর খাবার রান্না করা, স্বাস্থ্যকরা খাবার পরিবেশন এবং শিশুদের দেখভাল করার মতো কাজ এরা করে থাকে।

Anganwadi workers: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও গ্র্যাচুইটির সুবিধা পাওয়ার অধিকারী, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2022 | 12:18 PM

নয়া দিল্লি: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী (Anganwadi Worker) ও সহায়কদের (Anganwadi Helper) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হয়। অনেক সময় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের তরফে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India)। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পেমেন্ট অব গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এবং সরকারের অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়কদের জন্য ১৯৭২ সালের আইন প্রযোজ্য।” দেশের শীর্ষ আদালতে সমন্বিত শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের ক্ষেত্রে ১৯৭২ সালের আইন প্রযোজ্য কি না, তা জানতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল । আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। জেলা উন্নয়ন আধিকারিক এবং আরও দুই ব্যক্তি এই বিষয় নিয়ে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।

“গুজরাট আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ জেলা উন্নয়ন আধিকারিকের আবেদন প্রসঙ্গে একই ধরনের মন্তব্য করেছিল । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের সেই বক্তব্যকে স্থগিত করেছিল। তাদের মতে, ১৯৭২ সালের আইনের ২ (ই) ধারা অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়করা কোনওভাবেই কর্মচারী নন, এবং আইসিডিএসকে শিল্প বলেও মানতে চায়নি ওই ডিভিশন বেঞ্চ।” শীর্ষ আদালত বলেছে যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং শিক্ষার অধিকার আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করে।

এর আগে অন্য একটি মামলার রায়ে বিচারপতি ওকা বলেছিলেন, “এইভাবে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩ এবং গুজরাট সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিগুলি কার্যকর করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের একটি বর্ধিত হাত হয়ে উঠেছে৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি সংবিধানের ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা রাজ্যের বাধ্যবাধকতাগুলি কার্যকর করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের পদগুলি বিধিসম্মত।” শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। উপভোক্তাদের শনাক্তকরণ, পুষ্টিকর খাবার রান্না করা, স্বাস্থ্যকরা খাবার পরিবেশন এবং শিশুদের দেখভাল করার মতো কাজ এরা করে থাকে। সেখানে গুজরাটে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাসিক ৭ হাজার ৮০০ টাকা এবং সহায়কদের ৩ হাজার ৯৫০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। বিচারপতি রাস্তোগি অন্য একটি মামলার রায়ে জানিয়েছেন, সময় এসে গিয়েছে, যখন কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যৌথভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

আরও পড়ুন Rajasthan Rape Case: বাস থেকে নেমে বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা, বাইকে করে ২ জন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিল, তারপর…