AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Assam Flood: অসমে বন্যায় প্লাবিত ১৩টি জেলা, মৃত ১৮

Flood: বন্যায় মোট ১৩টি জেলার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু। প্রায় ৮ হাজার ৫৯২ হেক্টর চাষের জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে।

Assam Flood: অসমে বন্যায় প্লাবিত ১৩টি জেলা, মৃত ১৮
অসমের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ।Image Credit: twitter
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2023 | 11:17 PM
Share

গুয়াহাটি: অসমে বন্যা-পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও প্লাবিত রয়েছে অসমের (Assam) ৭ জেলা। বানভাসি লক্ষাধিক মানুষ। ৯৭ হাজারের বেশি গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্যার জেরে নতুন করে মৃত্যুর খবর নেই। বরং ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে রবিবার অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (ASDMA) বুলেটিনে জানানো হয়েছে। যদিও ধুবরির কাছে এখনও পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নতুন করে ভারী বৃষ্টি না নামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ASDMA) সূত্রে খবর, বর্তমানে অসমের প্রায় ৭টি জেলা প্লাবিত রয়েছে। জেলাগুলি হল- বারপেতা, চিরাং, দারাং, গোলাঘাট, কামরূপ শহর, মোরিগাঁও এবং নওগাঁও। এই ৭টি জেলার ১ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি মানুষ বানভাসি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দারাং জেলার। এই জেলার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বানভাসি। এরপরে রয়েছে যথাক্রমে গোলাঘাট ও মোরিগাঁও। গোলাঘাটের ৪৫,৩০০ মানুষ এবং মোরিগাঁওয়ের সাড়ে ৬ হাজার মানুষ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮। তবে গত কয়েকদিনে নতুন করে আর মৃত্যুর খবর নেই।

ASDMA-র শনিবার পর্যন্ত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বন্যায় মোট ১৩টি জেলার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু। প্রায় ৮ হাজার ৫৯২ হেক্টর চাষের জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে। দারাং ও মোরিগাঁওয়ের রাস্তা, সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবার তিনসুকিয়া, ধুবরি এবং বোনাগাইগাঁও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, বন্যা দুর্গতদের জন্য অতিরিক্ত ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। চার জেলায় অতিরিক্ত ১৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া ৩ জেলায় ৭টি ত্রাণ শিবির চলছে। সেখানে ১,৩৩১ জন আশ্রয় নিয়েছেন।