Train Blast Plot: এবার আর রাখ-ঢাক না, রেললাইনে পুঁতে রেখেছিল ১০টা ডেটোনেটর, উড়ে যেত সেনা ভর্তি গোটা ট্রেনই!
Indian Army: ওই ট্রাক ধরেই আসছিল জম্মু-কাশ্মীর থেকে কর্নাটক যাওয়ার সেনাবাহিনীর বিশেষ ট্রেন। দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা ছিল, সেনা বোঝাই ট্রেনটিকে উড়িয়ে দেওয়ার। ট্রেনটি দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে সাগফাটা রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরই বিস্ফোরণ শুরু হয়।
ভোপাল: একের পর এক ঘটনা। কখনও রেললাইন থেকে খুলে নেওয়া হচ্ছে ফিসপ্লেট, কখনও আবার রাখা থাকছে গ্যাস সিলিন্ডার! বিগত কয়েকদিন ধরেই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর একাধিক প্রচেষ্টা সামনে এসেছে। এবার সেই ষড়যন্ত্র আরও স্পষ্ট। ছোটখাটো জিনিস নয়, এবার রেললাইনে রাখা ছিল ডেটোনেটর। যাতে ট্রেন আসতেই বিস্ফোরণ হয়। তাও আবার একটা-দুটো নয়, কমপক্ষে ১০টি ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চালকের তৎপরতায় কোনওরকমে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের বুরহান পুরের নেপানগরে। জানা গিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই ট্রাকে ১০টি ডেটোনেটর পোঁতা ছিল। ওই ট্রাক ধরেই আসছিল জম্মু-কাশ্মীর থেকে কর্নাটক যাওয়ার সেনাবাহিনীর বিশেষ ট্রেন। দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা ছিল, সেনা বোঝাই ট্রেনটিকে উড়িয়ে দেওয়ার। ট্রেনটি দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে সাগফাটা রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরই বিস্ফোরণ শুরু হয়। প্রথম ডেটোনেটরে চাপ পড়তেই বিস্ফোরণ হয়। এরপরই লোকো পাইলট ট্রেন থামিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় স্টেশন মাস্টার ও কন্ট্রোল রুমে।
রেল আধিকারিকরা খবর পেয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, কমপক্ষে ১০টি ডেটোনেটর লাগানো ছিল। ট্রেনটি এগোলে আরও বড় মাপের বিস্ফোরণ হত, আগুন ধরে যেতে পারত ট্রেনে। ঘটনাটি ঘটার পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এটিএস ও এনআইএ মিলিতভাবে তদন্ত করছে। বিষয়টি সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত বলে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও স্লিপার সেল এই নাশকতামূলক কাজগুলি করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।