AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Passenger Fell Sick: কেউ বমি করে ভাসাচ্ছেন, কারোর পেট খারাপ, চলন্ত ট্রেনই যেন আস্ত হাসপাতাল, অসুস্থ ১০০ যাত্রী

Bharat Gaurav Train: রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি পুণে রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছতেই ট্রেনে ওঠে মেডিক্যাল টিম। তাঁরা অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেনটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। কোনও যাত্রীকেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি।

Passenger Fell Sick: কেউ বমি করে ভাসাচ্ছেন, কারোর পেট খারাপ, চলন্ত ট্রেনই যেন আস্ত হাসপাতাল, অসুস্থ ১০০ যাত্রী
অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2023 | 12:49 PM
Share

আহমেদাবাদ: ট্রেনে খাবার খাওয়ার পরই পেটে ব্যথা, কারোর শুরু হল বমি-পায়খানা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কমপক্ষে ১০০ যাত্রী। শতাধিক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ভারত গৌরব ট্রেনের শতাধিক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে ট্রেন থামাতে হয়। চিকিৎসক ডাকা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক যাত্রী।

বুধবার রেলের তরফে জানানো হয়, চেন্নাই থেকে গুজরাটের পাতিলানাগামী ভারত গৌরব ট্রেনে যাত্রীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মধ্য রেলওয়ের কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে।  ভারত গৌরব ট্রেনের একাধিক যাত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মেলে।

জানা গিয়েছে, দাউন্দ পার করার পর পুণের দিকে যখন এগোচ্ছিল ট্রেনটি, তখন একে একে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। কারোর বমি শুরু হয়, কাউকে আবার বারে-বারে শৌচালয়ে যেতে হয়। অনেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণার অভিযোগও জানান। একসঙ্গে এতজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়তেই বিষক্রিয়ার আশঙ্কা করা হয়। খবর দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। শিশু, মহিলা সহ কমপক্ষে ১০০ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ট্রেনে পরিবেশন করা খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি পুণে রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছতেই ট্রেনে ওঠে মেডিক্যাল টিম। তাঁরা অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেনটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। কোনও যাত্রীকেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। কেবল ১২ বছরের এক বালিকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাঁরও চিকিৎসা করা হয়। চলন্ত ট্রেনেই তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কোনও যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ট্রেনে উপস্থিত ছিল দুইজন প্যারামেডিক্যাল স্টাফ।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই খাবার রেল পরিবেশন করেনি। ট্রেনে কোনও প্যান্ট্রি পরিষেবাও ছিল না। কিছু যাত্রী সোলাপুরের কাছে ওয়াদি রেলওয়ে স্টেশন থেকে খাবার কিনেছিলেন। অনেকে আবার আগে থেকেই খাবার নিয়ে উঠেছিলেন। ওই খাবার স্টেশনে পরিবেশন করেছিল কোনও একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা। ট্রেনে মোট ১৪০০ যাত্রী ছিল, তার মধ্যে কমপক্ষে ১০০ যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন।