AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fire Incident: দাউদাউ করে জ্বলল ৪০ কোটির সামগ্রী, আগুনের গ্রাসে ৪ তলা বিল্ডিং, পুড়ে মৃত্যু ৪ জনের

Jhansi: আগুন নেভানো না গেলে, সেনার সাহায্য নেওয়া হয়। সেনাবাহিনী এসে ওই বিল্ডিং থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন। প্রায় একটানা ১০ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Fire Incident: দাউদাউ করে জ্বলল ৪০ কোটির সামগ্রী, আগুনের গ্রাসে ৪ তলা বিল্ডিং, পুড়ে মৃত্যু ৪ জনের
আগুনে পুড়ে যায় আস্ত বিল্ডিং।Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2023 | 8:45 AM
Share

লখনউ: চারতলা বিল্ডিং, তাতে ইলেকট্রনিক্সের শোরুম থেকে খেলার সরঞ্জামের দোকান, বিভিন্ন বেসরকারি অফিস চলে। সেখানেই হঠাৎ লাগল ভয়াবহ আগুন। দাহ্য বস্তু ভরপুর মজুত থাকায় একের পর এক দোকান, শোরুম, অফিসে ছড়িয়ে পড়ল আগুন। জ্বলন্ত ওই বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকে পড়েন বেশ কিছু মানুষ। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় কোনওমতে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা সহ মোট চারজনের। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলায়। অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঝাঁসি জেলার সিপরি বাজার এলাকার ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। বিল্ডিংয়ের প্রথম তলে যে ইলেকট্রনিক শোরুম ছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। নিমেষেই শোরুমে থাকা টিভি, ফ্রিজ সহ অন্যান্য় ইলেকট্রনিক বস্তুও পুড়তে থাকে। ছোটখাটো বিস্ফোরণও হয়। ওই সময়ে বিল্ডিংয়ের অধিকাংশ দোকান-পাটই খোলা ছিল। ফলে বহু মানুষ ভিতরে আটকে পড়েন।

ওই ইলেকট্রনিক্সের দোকানের পাশেই আরও একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যেরই দোকান ছিল। তাতেও আগুন লেগে যায়। পুড়ে যায় ভিতরে রাখা সমস্ত জিনিস। ওই দুই শোরুমের মোট তিনজন আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই দোতলা, তিনতলাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চারতলায় আগুনে পুড়ে মারা যান রাগিনী রাজপুত নামক এক মহিলা। তিনি ওই তলেই অবস্থিত একটি বিমা অফিসে কাজ করতেন। পাশে থাকা খেলার সরঞ্জামের দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রায় ১০০টিরও বেশি বাইক-স্কুটার রাখা ছিল। সেগুলিও পুড়ে যায়।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাঁসির পাশাপাশি ললিতপুর ও জালাউন থেকেও দমকল আনা হয়। কিন্তু এরপরও আগুন নেভানো না গেলে, সেনার সাহায্য নেওয়া হয়। সেনাবাহিনী এসে ওই বিল্ডিং থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন। প্রায় একটানা ১০ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। শেষ খবর অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে এক মহিলা সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন ছয়জন।

ঝাঁসির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানান, কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।