Avalanche: গুলমার্গের স্কাই রিসর্টে তুষারধস, মৃত ২ বিদেশি পর্যটক
এবছর মরশুমের শুরু থেকেই অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর ইতিমধ্যে রেকর্ড পর্যটক ভিড় করেছে ভূ-স্বর্গে।
বারমুলা: এবার বিপর্যয় নেমে এল কাশ্মীরে। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারধস নামে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ বিদেশি পর্যটকের। এছাড়া তুষারধসে আটকে পড়েন আরও অনেকে। পরে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের তৎপরতায় ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বারমুলা জেলার গুলমার্গে তুষারধস নামে। গুলমার্গের বিখ্যাত স্কাই রিসর্ট হাপাথখুদ আফারওয়াতে তুষারধস নামে। ঘটনায় ২ বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
এদিন দুপুরে গুলমার্গের স্কাই রিসর্টটিতে যখন তুষারধস নামে, তখন সেখানে পর্যটকদের যথেষ্ট ভিড় ছিল। হঠাৎ করে ভয়াবহ তুষারধস নামলে পর্যটকেরা প্রাণে বাঁচতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। যদিও তার মধ্যেই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যান বহু পর্যটক। তারপর পুলিশ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে এবং ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ২ বিদেশি পর্যটককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১৯ জন পর্যটকের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনাটি কয়েকজন পর্যটক মোবাইলবন্দি করেছেন।
Rescue ops at Gulmarg avalanche, Baramulla police teams along with others on job.Sofar 19 foreign nationals have been rescued successfully Deadbodies of 2 foreign nationals recovered being shifted to hospital for medicolegal procedures.@JmuKmrPolice @KashmirPolice pic.twitter.com/GetUIrbPPG
— Baramulla Police (بارہمولہ پولیس) (@BaramullaPolice) February 1, 2023
প্রসঙ্গত, কোভিড-আতঙ্ক কাটিয়ে এবছর মরশুমের শুরু থেকেই অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর ইতিমধ্যে রেকর্ড পর্যটক ভিড় করেছে ভূ-স্বর্গে। তার মধ্যে এদিন একেবারে স্কাই রিসর্টে তুষারধসের ঘটনা যেমন মর্মান্তিক, তেমনই পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি লাদাখের কার্গিল জেলায় তুষারধসে ২৯ বছর বয়সি এক মহিলা ও তাঁর কিশোরী মেয়ের মৃত্যু হয়। তাঁরাও লাদাখে বেড়াতে গিয়েছিলেন।