Youth Leader: শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে জেল থেকে বেরোলেন নেতা, এরপরই ‘মোচ্ছব’
Yuba congress Leader: গত সেপ্টেম্বরে একটি অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন লাকি সাধু। অপহরণ ও হুমকির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ছিল, সাধু ও তাঁর ভাই অভিযোগকারীকে মারধর করেন এবং অপহরণ করেন। এছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে এই যুব কংগ্রেস নেতার নামে।
পঞ্জাব: লুধিয়ানার সেন্ট্রাল জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে আছেন যুব কংগ্রেস নেতা। শরীরের সমস্যার কথা বলে সম্প্রতি জেল থেকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। এদিকে সেই নেতাকেই একটি বিয়ে বাড়িতে ভাংড়া নাচতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় পঞ্জাব পুলিশে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়।
অসুস্থ বলে পার্টিতে নাচ?
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাবের যুব কংগ্রেস নেতা সর্বোত্তম সিং ওরফে লাকি সাধুকে একটি পার্টিতে নাচতে দেখা যায়। ১২ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রায়কোটের একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দিয়েছিলেন এই যুব কংগ্রেস নেতা।
কীভাবে জেল থেকে বিয়েবাড়ি গেলেন?
গত ৮ ডিসেম্বরের ঘটনা। লুধিয়ানা জেল সুপারিনটেনডেন্ট শিবরাজ সিং জানান, সাধুকে চিকিৎসার জন্য পিজিআইএমইআর (PGIMER) চণ্ডীগঢ়ে পাঠানো হয়েছিল। সাধু জানিয়েছিলেন, তাঁর অসম্ভব ‘ব্যাক পেন’ হচ্ছে। শুধু পিঠে ব্যথাই নয়, ওই যুব কংগ্রেস নেতা জানিয়েছিলেন, প্রস্রাবেও সমস্যা হচ্ছে তাঁর। এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য তাঁকে পিজিআইএমইআর চণ্ডীগঢ়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
শিবরাজ সিং জানান, লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের একটি দল সাধুকে চণ্ডীগঢ় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিল। জেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, চণ্ডীগঢ়ের হাসপাতালে ওই কংগ্রেস নেতার চেকআপের পর ফেরার পথে বিয়েবাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। এরপর আবার জেলেও ফিরে আসেন। শিবরাজ সিং বলেন, “ভিডিয়ো সামনে আসতেই লুধিয়ানা পুলিশকে জানিয়েছি। যে পুলিশ কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে বলেছি।”
দুই পুলিশ সাসপেন্ড
লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার কুলদীপ সিং চাহাল জানান, দু’জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একজন সাব-ইন্সপেক্টর মঙ্গল সিং, অন্যজন অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর কুলদীপ সিং। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে একটি অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন লাকি সাধু। অপহরণ ও হুমকির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ছিল, সাধু ও তাঁর ভাই অভিযোগকারীকে মারধর করেন এবং অপহরণ করেন। এছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে এই যুব কংগ্রেস নেতার নামে।