Coromandel Express Accident: স্তূপীকৃত করে রাখা হয়েছিল দেহ, এবার ভেঙে ফেলা হল বাহানাগার সেই স্কুল
Bahanaga High school: কেবল স্কুলবাড়ি ভেঙে নতুন ভবন করা নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় কাটাতে স্কুল চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাহানাগা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রমীলা সোয়াইন।

বাহানাগা: করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express ) দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হয় উদ্ধারকাজ। সেই সময় মৃতদেহগুলি রাখার জন্য দুর্ঘটনাস্থলের পাশে বাহানাগা হাইস্কুলে (Bahanaga High School) করা হয়েছিল অস্থায়ী মর্গ। স্তূপীকৃত মৃতদেহ সেই স্কুলবাড়িতে রাখা হয়েছিল। তারপর দেহ সরানো হলেও ওই স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ করার জন্য ওড়িশা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ করল নবীন পট্টনায়কের সরকার (Odisha Government)। গুঁড়িয়ে ফেলা হল ৬৫ বছরের পুরোনো স্কুলবাড়ি। স্কুলবাড়ি ভেঙে ফেলার সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করেই স্কুলবাড়িটি ভেঙে ফেলা হল বলে জানিয়েছেন বালেশ্বরের জেলা কালেক্টর দাত্তাত্রায়া ভায়ুসাহেব। বৃহস্পতিবারই তিনি স্কুল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, “আমি স্কুল পরিচালন কমিটি, প্রধান শিক্ষিকা, অন্যান্য কর্মী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সকলেই পুরোনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করার কথা বলছেন। তার ফলে শিশুদের ভয় কাটবে এবং তারা ক্লাসে যেতে পারবে।” সকলের মতামতের ভিত্তিতেই করমণ্ডল দুর্ঘটনার ৮ দিনের মাথায়, শুক্রবার বাহানাগা হাইস্কুলের ৬৫ বছরের পুরোনো ভবনটি গুঁড়িয়ে ফেলা হল।
কেবল স্কুলবাড়ি ভেঙে নতুন ভবন করা নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় কাটাতে স্কুল চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাহানাগা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রমীলা সোয়াইন। তিনি বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কে রয়েছে। তাদের ভয় কাটাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হবে।”
VIDEO | Bahanaga High School, which was turned into a makeshift morgue following the train crash incident in Odisha’s Balasore on June 2, is now being demolished. pic.twitter.com/ragmcklBNE
— Press Trust of India (@PTI_News) June 9, 2023
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একদিকে যেমন আতঙ্কগ্রস্ত, তেমনই কিছু সিনিয়র ছাত্র এবং স্কুলের NCC সদস্যরা ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে এগিয়ে গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা প্রমীলা সোয়াইন।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন, শুক্রবার রাতে বাহানাগায় আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তারপরই ইঞ্জিনের পর ৩টি বগি বাদ দিয়ে সমস্ত বগি দুমড়ে-মুচড়ে ছিটকে যায়। সেই সময় যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ডাউন লাইনে চলে আসায় সেটিও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দুর্ঘটনাস্থলে আপ ও ডাউন দুটি লাইনই ভেঙে-চুরে যায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। তারপর সময় যত এগোয়, উদ্ধারকাজ গতি পায়, ততই মৃতদেহের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজে গতি আনতে স্থানীয় স্কুলে অস্থায়ী মর্গ বানিয়ে মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে হাসপাতালের মর্গে স্থানান্তরিত করা হয়।
