Bangladeshi Teen Arrested: সীমান্ত পেরিয়ে চকোলেটের জন্য সাঁতার কেটে প্রায়শই ভারতে আসত তরুণ, তারপর যা হল
Bangladesh Border: প্রায়শই সে নদীতে সাঁতার কেটে নিজের পছন্দের চকোলেট কেনার জন্য ত্রিপুরা সিপাহিজলা জেলায় আসত। কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে লুকানো একটি গর্ত দিয়েই সে ত্রিপুরাতে ঢুকত এবং সেখানে এসে নিজের পছন্দের চকোলেট কিনত।
আগরতলা: ভারতের প্রতিবেশি দুই দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তান (Pakistan) থেকে অনেকে সময়ই বেআইনিভাবে সীমান্তের কাঁটাতার টপকে দেশে ঢুকে পড়ার ঘটনা মাঝে মাঝেই সামনে আসে। এই দুই দেশে থেকে সন্ত্রাসবাদীরা নাশকতা ছড়ানোর লক্ষ্যে দেশে প্রবেশ করারও চেষ্টা করে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসফের (Border Security Force) কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বে এইসব অপরাধীদের অনেক সময়ই আটাকানো সম্ভব হয়না। তবে বাংলাদেশের এক তরুণ এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। শুক্রবার বিএসফ জানিয়েছে, চকোলেট কেনার জন্য বাংলাদেশ থেকে লুকিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে দেশে ঢুকেছিল ওই তরুণ। তাই বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ইমান হুসেন নামের বাংলাদেশি ওই তরুণ শালদা নদীর নিকচ বাংলাদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই নদীর সামনে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বর্ডার। প্রায়শই সে নদীতে সাঁতার কেটে নিজের পছন্দের চকোলেট কেনার জন্য ত্রিপুরা সিপাহিজলা জেলায় আসত। কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে লুকানো একটি গর্ত দিয়েই সে ত্রিপুরাতে ঢুকত এবং সেখানে এসে নিজের পছন্দের চকোলেট কিনত। একই পদ্ধতিতে আবার দেশে ফিরে যেত সেই তরুণ। কিন্তু বুধবার এতদিনের গোপনীয়তা আর রইল। বুধবার ওই বাংলাদেশি তরুণকে হাতেনাহাতে ধরে ফেলে বিএসএফের নিরাপত্তা রক্ষীরা। ওই তরুণকে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে আদালতে পেশ করেছিল এবং আদালত তাঁকে ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সোনামুরার এসডিপিও বনোজ বিপ্লব দাস এমনটাই জানিয়েছেন।
এসডিপিও বলেন, “ওই তরুণ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা এবং সে পুলিশ কাছে স্বীকার করেছে চকোলেট কেনার জন্যই সেই লুকিয়ে ভারতে আসত। তাঁরা কাছে থেকে ১০০ বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বেআইনি কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। বৈধ নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত চলছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে, সেখানেই তাঁর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এখনও অবধি তাঁর পরিবারের তরফে কেউ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।”