Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধের মাঝেই ‘হার্ট অ্যাটাক’ পুতিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, কারণটা কি স্বাভাবিক?
Russia-Ukraine Conflict: রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। একাধিক সফরে পুতিনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মস্কো : রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পরই বাহিনীকে দিক নির্দেশ করছিলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। প্রায় সাত সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে সেই যুদ্ধের। আর সম্প্রতি সেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীই যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে কোথাও সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধের মাঝে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অবস্থান ঘিরে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই জানা গেল আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন রুশ মন্ত্রী। তিনি নিছক একজন মন্ত্রীই নন, তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সখ্যতার কথাও অনেকেই জানা। ২০১২ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। তবে তাঁর অসুস্থতা স্বাভাবিক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার এক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ স্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ৬৬ বছরের সের্গেই শোইগু যদি বেঁচেও যান তাহলেও তিনি হয়ত আর কখনও উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। বর্তমানে তিনি আইসিইউ-তে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ায় আটক করা হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ২০ জন জেনারেলকে। আর তারপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অসুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সের্গেই শোইগুর অসুস্থতা ও তার কারণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি মস্কো।
লিওনিদ নেভজ়লিন নামে ওই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে ওই মন্ত্রীর। সাম্প্রতিক একটি ছবির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। আর তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত পুতিনের সঙ্গে মত মিলছে না মন্ত্রীর। শোনা যাচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে তাঁর নিজের প্রশাসনের মধ্যে কোনও দ্বিমত থাকুক, তা চাইছেন না পুতিন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিষয়ে এমন দাবি অবশ্য আগেই সামনে এসেছে। গত মার্চ মাসে ইউক্রেনের মন্ত্রী আন্তন গেরাশচেঙ্কো দাবি করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাশিয়ার সের্গেই শোইগু। তিনি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা সেভাবে সাফল্য না পাওয়ায় শোইগুকে দোষারোপ করেছিলেন পুতিন। আর তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন শোইগু।
আরও পড়ুন : রুশ বাহিনীর বড় ধাক্কা, প্রবল বিস্ফোরণে কৃষ্ণ সাগরে ডুবল যুদ্ধজাহাজ, মিসাইল নাকি অন্য কিছু?