
নয়াদিল্লি: সংঘর্ষ বিরতি মানে সব ঠিক এমনটা নয়। পাকিস্তানকে এখনও নানা ভাবেই চাপে রাখতে চায় ভারত। দুই দেশের মধ্য়ে উত্তেজনা একটু শিথিল হতেই সীমান্তে বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেলল মোদী সরকার।
আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ওয়াঘা-অটারি সীমান্তে শুরু হচ্ছে বিটিং রিট্রিট। পহেলগাঁও হামলার পর পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে বিটিং রিট্রিট শুরু হলেও, সেই অনুষ্ঠানে একাধিক বদল এনেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মেনে এখনই খোলা হবে না অটারি-ওয়াঘা সীমান্তের গেট। ‘রুদ্ধ প্রান্তেই’ চলবে অনুষ্ঠান।
পাশাপাশি, হবে না করমর্দন। সাধারণ ভাবেই বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের দু’টি পর্যায় হামেশাই নজর কেড়েছে দেশবাসীর। একটি দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্য়ে করমর্দন ও অন্যটি আকাশ ছুঁয়ে পা তোলা। কিন্তু এই দু’টির মধ্যে কোনওটিই আপাতত হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে BSF তরফে। মূলত, পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে মাথায় রেখে পাকিস্তানের মুখ দেখতে চায় না ভারত। তাই আগামিকাল যখন বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান করবে সীমান্তরক্ষীরা। তখনও পাকিস্তানের রেঞ্জার্স বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি হবে না ভারতীয় বিএসএফ। এমনকি যে যে প্রক্রিয়ায় সীমান্তে এই ধরনের রিট্রিটের আয়োজন করা হয়, সেগুলো শুধু ভারতের সীমান্তের দিকেই করা হবে। পাকিস্তান রেঞ্জারস বাহিনীর সঙ্গে কোন রকম বিনোদন নয়।
বিটিং রিট্রিট
উল্লেখ্য, সাধারণ ভাবেই বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি থাকে সাধারণের কাছে। কিন্তু দুই দেশের সংঘর্ষের পর আগামিকাল প্রথমবার হওয়া বিটিং রিট্রিটে থাকতে পারবে না সাধারণ দর্শকরা। সীমান্তরক্ষীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল সংবাদমাধ্যমকে সীমান্তে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, এখনও প্রবেশ নিষিদ্ধ সাধারণের জন্য। তবে দু’দিন পর থেকে তারা আসতে পারবেন এই অনুষ্ঠান দেখতে। পাশাপাশি, শুধু ওয়াঘা সীমান্তই নয়, একইসঙ্গে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের হুসেইনিওয়ালা সীমান্তেও আগামিকাল থেকে রিট্রিট শুরু হতে চলেছে। সেখানেও থাকছে একই বিধিনিষেধ।