AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুর্গাপুর-দিল্লির পর এবার বেঙ্গালুরু! কলেজের শৌচালয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বলল, ‘তোমার পিল চাই?’

Physical Assault: এফআইআর অনুযায়ী, নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত পরস্পরকে চিনতেন। অভিযুক্তের ব্যাকলগ থাকায়, এক সেমিস্টার পিছিয়ে পড়েছিল। ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্ত দেখা করেছিল তাঁর কিছু জিনিস নেওয়ার জন্য। একাধিকবার তাঁকে ফোন করেছিল, এরপর যুবতী কলেজের ষষ্ঠ তলায় আর্কিটেকচার ব্লকের কাছে দেখা করতে যায়। সেখানেই অভিযুক্ত ওই যুবতীকে জোর করে চুম্বন করে।

দুর্গাপুর-দিল্লির পর এবার বেঙ্গালুরু! কলেজের শৌচালয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বলল, 'তোমার পিল চাই?'
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।Image Credit: X
| Updated on: Oct 17, 2025 | 12:34 PM
Share

বেঙ্গালুরু: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই সুরক্ষিত নন ছাত্রীরা। একের পর এক রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়ার ধর্ষণ, তারপর নয়া দিল্লির ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ধর্ষণের খবর সারা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবার বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁরই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। কলেজের পুরুষ শৌচালয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে বছর একুশের যুবতীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ওই ছাত্রী ষষ্ঠ সেমিস্টারের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে বুধবার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর অভিযুক্ত পড়ুয়া তাঁকে ধর্ষণ করে।

এফআইআর অনুযায়ী, নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত পরস্পরকে চিনতেন। অভিযুক্তের ব্যাকলগ থাকায়, এক সেমিস্টার পিছিয়ে পড়েছিল। ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্ত দেখা করেছিল তাঁর কিছু জিনিস নেওয়ার জন্য। একাধিকবার তাঁকে ফোন করেছিল, এরপর যুবতী কলেজের ষষ্ঠ তলায় আর্কিটেকচার ব্লকের কাছে দেখা করতে যায়। সেখানেই অভিযুক্ত ওই যুবতীকে জোর করে চুম্বন করে। যুবতী ক্ষুব্ধ-বিরক্ত হয়ে লিফটে করে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু অভিযুক্ত তাঁকে অনুসরণ করে এবং জোর করে পুরুষদের শৌচালয়ে টেনে নিয়ে যায়। সেখানেই যুবতীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। দুপুর দেড়টা থেকে ১ টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এই অপরাধ ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে।

নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত সহপাঠী তাঁর ফোন কেড়ে নিয়েছিল এবং তাঁকে দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে আটকে রেখেছিল। পরে অভিযুক্ত যুবতীকে ফোন করে এবং জিজ্ঞাসা করে, “তোমার কি (গর্ভনিরোধক) পিলের দরকার আছে?”

গোটা ঘটনায় যুবতী এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল যে কাউকে জানাতে ইতস্তত বোধ করছিল। পরে তাঁর দুই বন্ধুকে গোটা ঘটনা জানায়। এরপরে নিজের মা-বাবাকেও জানায়। তাদের সঙ্গে নিয়েই যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করে গত ১৫ অক্টোবর। গতকাল পুলিশ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে।

কলেজের যে ফ্লোরে ধর্ষণ হয়েছিল, সেখানে কোনও সিসিটিভি বসানো নেই, ফলে অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার মধ্য়ে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে ফরেন্সিক ও ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।