AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengaluru: দাঁতের জোরে আদায় আড়াই লক্ষ টাকা! মাথা চাপড়াচ্ছে ডেন্টাল ক্লিনিক

Bengaluru: ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। বেঙ্গালুরুর মাথিকেরে এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দাঁতের চিকিৎসার জন্য সাবকা ডেন্টিস্ট ক্লিনিক নামে এক ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর অর্থোডন্টিক চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তাঁকে দাঁতে সেরামিক ব্রেস লাগাতে হবে। পরবর্তী এক বছর ক্লিনিকে তাঁর চিকিত্সা চলে।

Bengaluru: দাঁতের জোরে আদায় আড়াই লক্ষ টাকা! মাথা চাপড়াচ্ছে ডেন্টাল ক্লিনিক
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Feb 02, 2024 | 7:30 AM
Share

বেঙ্গালুরু: দাঁতের জোরে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করলেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। ঠিক দাঁতের জোরে নয়, দাঁত নষ্টের জেরে বললে ঠিক হবে। আসলে শহরের এক ডেন্টাল ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন তিনি। ঠিক হওয়া তো দূর অস্ত, সেখানকার চিকিৎসার দৌলতে তাঁর দশটি দাঁত খারাপ হয়ে গিয়েছে। এরপরই তিনি তার দাঁতের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। শুনানির পর, উপভোক্তা আদালত ওই ডেন্টাল ক্লিনিককে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আরও অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই ৫০,০০০ টাকা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসার মূল্য হিসেবে নিয়েছিল ক্লিনিকটি।

এই ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। বেঙ্গালুরুর মাথিকেরে এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দাঁতের চিকিৎসার জন্য সাবকা ডেন্টিস্ট ক্লিনিক নামে এক ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর অর্থোডন্টিক চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তাঁকে দাঁতে সেরামিক ব্রেস লাগাতে হবে। পরবর্তী এক বছর ক্লিনিকে তাঁর চিকিত্সা চলে। এর জন্য তিনি ৩৪,০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এরপর ডাক্তাররা বলেন, আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। আরও দুই বছর পুরো চিকিৎসা পর্ব টানা হয়। তার জন্য ওই ব্যক্তিকে আরও অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা দিতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে তাঁর দাঁতের সেরামিক ব্রেস খোলা হয়।

তিনি ভেবেছিলেন, চিন্তামুক্ত হওয়া গেলষ। কিন্তু সে গুড়ে বালি। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর অন্তত আটটি দাঁতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরও দুটি দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনও খাবার চিবানোর সময় তাঁর মাড়ি ফুলে যেতে শুরু করে। দাঁতে তীব্র ব্যথা হয় তাঁর। ফলে, ফের ওই ক্লিনিকে ফিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অভিযোগ করার পরে, তাঁকে অন্য একদল ডেন্টিস্টের কাছে পাঠানো হয়। নতুন ডাক্তাররা, তার কয়েকটি দাঁত সিমেন্ট করে। যার ফলে দাঁতগুলির আরও ক্ষতি হয়। তাঁর ব্যথা আরও বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ওই ডেন্টাল ক্লিনিকের প্রতি তাঁর আস্থা পুরোপুরি চলে যায়।

এরপর তিনি সেন্ট জনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানকার দাঁতের ডাক্তাররা জানান, তাঁর দাঁতে সেরামিক বিকৃতি ঘটেছে। তাঁরা আরও জনান, এর চিকিৎসা আছে বটে। কিন্তু, তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সেই ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। এরপরই মল্লেশ্বরম থানায় গিয়ে তিনি সাবকা ডন্টিস্ট ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল পুলিশ কিছুই করেনি। অন্তত ওই ব্যক্তির সেই রকমই অভিযোগ। হাল ছাড়েননি তিনি। এরপর তিনি ক্লিনিকে আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য, তিনি বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে যান। সেখানে অভিযোগ করাতেই, শেষ পর্যন্ত কাজ হয়েছে।