Lalu Prasad Yadav: ভোটের আগে বিরাট ধাক্কা! IRCTC দুর্নীতিতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বীর বিরুদ্ধে আদালতের পদক্ষেপ
IRCTC Scam: এ দিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় শুনানিতে বলা হয় যে লালু যাদব টেন্ডার দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যদিও লালু ও তাঁর পরিবার নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

পটনা: নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা আরজেডি(RJD)-তে। হাই ভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি মামলায় দলের প্রতিষ্ঠাতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav), তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী (Rabri Devi) ও তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)-র বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। এ দিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় শুনানিতে বলা হয় যে লালু যাদব টেন্ডার দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যদিও লালু ও তাঁর পরিবার নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ সিবিআই বিচারক বিশাল গোগানে আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারি মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী এবং তেজস্বী যাদব সহ ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন। লালুর বিরুদ্ধে ৪২০ ধারা, ১২০বি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৩(২) এবং ১৩(১)(ডি) ধারায় অভিযোগ গঠন করেছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। যদিও তারা সকলেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাবড়ি দেবী গোটা মামলাকেই ভুল বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছিল। আইআরসিটিসির দুটি হোটেল, বিএনআর রাঁচী ও বিএনআর পুরীর রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি দেওয়া হয়েছিল সুজাতা হোটেলকে। সিবিআই-র অভিযোগ, এই চুক্তির বদলে লালু প্রসাদ যাদব একটি বেনামী কোম্পানির মাধ্যমে তিন একর জমি নিয়েছিলেন।
২০১৭ সালে সিবিআই লালু প্রসাদ যাদব ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠনের মতো উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। যদিও লালুর আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে টেন্ডার দেওয়ায় কোনও বেনিয়ম হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।
আদালত উল্লেখ করেছে যে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে লালু দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে টেন্ডার দিয়েছিলেন, যার বিনিময়ে কম দামে দামি জমি পেয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু বিহারের বাসিন্দাদের মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা, জয়পুরে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দিয়েছিলেন, এর বিনিময়ে তাদের জমি লালু প্রসাদের পরিবারের সদস্যদের নামে বা তার মালিকানাধীন কোম্পানির নামে লিখে দিয়েছিল।
আদালতে লালু প্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি কি অপরাধ স্বীকার করবেন নাকি বিচারের মুখোমুখি হবেন। লালু যাদব আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
