চিরাগের উপর বেশি আস্থা মোদীর, ভরসা করতে পারছেন নীতীশকে? বিহারে ‘খেলা’ শুরু

Bihar Assembly Election 2025: চলতি বছরের শেষভাগে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লির পর এবার বিহারেও জেতাই লক্ষ্য বিজেপির। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জেডিইউ-র ভোটের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল।

চিরাগের উপর বেশি আস্থা মোদীর, ভরসা করতে পারছেন নীতীশকে? বিহারে খেলা শুরু
বিহারে কেমন আসন ভাগাভাগি হবে?Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jun 07, 2025 | 12:43 PM

পটনা: বিহারে চাপে নীতীশ কুমার? বিজেপি ক্রমে কোণঠাসা করছে জেডিইউ-কে? বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-তে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই এমনটা শোনা যাচ্ছে।

বিহারে ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্সে রয়েছে বিজেপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিহারে ১৭টি আসনে লড়েছিল, জেডিইউ ১৬টি, এলজেপি ৫টি, হাম ও আরএলএম একটি করে আসনে লড়েছিল। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তখন নির্ণায়ক শক্তি ছিল জেডিইউ। সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই এবার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ বিজেপির তুলনায় দু-একটি বেশি সিটে লড়তে পারে।

সূত্রের খবর,  বিহারে বিধানসভায় মোট ২৪৩টি আসন রয়েছে। জেডিইউ ১০২-১০৩টি আসনে লড়তে পারে। বিজেপি ১০১-১০২টি আসনে লড়তে পারে। বাকি ৪০টি সিট চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি, হাম ও আরএলএমের মধ্যে ভাগাভাগি করা হবে।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ৪০টি আসনের মধ্যে এলজেপিই সিংহভাগ আসন পাবে। ২৫ থেকে ২৮টি আসন তাদের দেওয়া হতে পারে। হাম ৬-৭টি আসনে এবং আরএলএম ৪-৫টি আসনে লড়তে পারে।

চলতি বছরই বিজেপি রাজ্যজুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল রাজনৈতিক উত্তাপ বুঝতে। জানা গিয়েছে, সেই সমীক্ষার উপরে শুধু আসন ভাগাভাগিই হবে না, কোন আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে, তাও স্থির করা হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষভাগে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লির পর এবার বিহারেও জেতাই লক্ষ্য বিজেপির। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জেডিইউ-র ভোটের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। এবারও যদি তাই হয় এবং ভোটের ফল এমন হয় যে বিজেপি এলজেপি ও অন্যান্য শরিকি দলগুলিকে নিয়ে সরকার গড়তে পারে, তবে তা জেডিইউ-র জন্য আরও চিন্তার বিষয় হবে কারণ নীতীশ কুমারের বারবার জোট বদলের স্বভাবের জন্য শরিকরা মোটেও খুশি নয়।