Nitish Kumar: ‘যারা মদ খান, তারা ভারতীয় নন…’, বিষমদের ব্যাখ্যায় মহাত্মা গান্ধীকেও টানলেন নীতীশ
Nitish Kumar on Alcohol Ban: যারা এই বিষমদ খেয়ে মারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকার দায়বদ্ধ থাকবে না, একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
পটনা: রাজ্যে মদ (Alcohol) নিষিদ্ধ। তাও লুকিয়ে-চুরিয়ে মদ বিক্রি চলছেই। একাধিক জায়গা থেকে বিষমদে (Hooch Alcohol) মৃত্যুর খবরও মিলছে প্রতিনিয়তই। এই নিয়েই এবার বিধানসভায় ক্ষোক্ষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। যারা এই বিষমদ খেয়ে মারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকার দায়বদ্ধ থাকবে না, একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি জানান, বিষমদ খেয়ে যারা মারা যাবেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “মদ খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তা জেনেশুনেই মানুষ বিষমদ খাচ্ছেন। সেই কারণে তাদের পরিণতির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী থাকবেন, সরকার নয়। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হলে তাঁর দোষ ওনাদেরই। ওনারা এটা জেনেই মদ খান যে ওটা বিষাক্ত হতে পারে।”
মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহাত্মা গান্ধীও মদ্যপানের বিরোধিতা করেছিলেন। যারা ওনার নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে মদ্যপান করেন, তারা ভারতীয় নন। আমি অন্তত তাদের ভারতীয় বলে মনে করি না। ওনারা মহা অযোগ্য। ওনারা মহাপাপী।” উল্লেখ্য, গতকালই বিহার বিধানসভায় মদ্যপান বিরোধী সংশোধনী বিল পাশ করা হয়। এই বিলে প্রথমবারের অপরাধীদের জন্য শাস্তি লাঘব করার কথা বলা হয়েছে। এবার থেকে মদ খাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ জরিমানা না দেন, সেক্ষেত্রে তাকে এক মাস হাজতবাস করতে হবে।
शराब पीने वाले @NitishKumar के अनुसार हिंदुस्तानी नहीं और वो महापापी और महाअयोग्य और उनके लिए कोई सहानुभूति नहीं @ndtvindia @Anurag_Dwary pic.twitter.com/bfTB4YU28w
— manish (@manishndtv) March 31, 2022
বিরোধী দলগুলির তরফে গতকালই বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ২০২১ সালের শেষ ৬ মাসেই রাজ্যে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হওয়ায়, বিজেপি ও আরজেডির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্য মদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও বিষমদ বিক্রি ও তার জেরে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এর কারণ হল রাজ্য সরকার সছিকভাবে আইন প্রণয়ন করতে পারছে না।
তারা আরও দাবি করেন যে, সরকার কেবল খাতায় কলমেই মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে আধিকারিকরা কঠোরভাবে নিয়ম পালন করছেন না, বরং সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে জোরজুলুম করে টাকা আদায় করে।