Haryana Bus Driver Harassed: অপমানে মাথা হেঁট, চোখে জল! বনধে সামিল না হওয়ায় এমনভাবে স্বাগত জানাল সহকর্মীরা…
Haryana Bus Driver Harassed: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানা রোডওয়েজের কর্মচারীরাও বনধ পালন করছিলেন। সমস্ত কর্মচারীকেই বনধের দিন বিক্ষোভে সামিল হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই বাসচালক বিক্ষোভে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
চণ্ডীগঢ়: শ্রমজীবী মানুষের দাবি তুলে ধরতেই দেশজুড়ে দুইদিনব্যাপী বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত কর্মীরাই যেন বনধে যোগ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি এক বাস চালক। বনধের পরদিন কাজে যোগ দিতে আসতেই তাই ‘অন্যভাবে’ স্বাগত জানালেন সহকর্মীরা। জুতোর মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হল তাঁকে। অন্যদিকে, এক বাস কন্ডাক্টরকেও সহকর্মীদের হাতে মারধর খেতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায়। সেখানেই হরিয়ানা রোডওয়েজের বাস চালক ও কর্মচারীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
গত ২৮ ও ২৯ মার্চ ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের যুগ্ম মঞ্চ। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রের তরফে যে কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী ও জনবিরোধী নীতিগুলি গ্রহণ করা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেই এই বনধের ডাক দেওয়া হয়। দেশজুড়েই সমস্ত শ্রমিক, কৃষক সংগঠনকে বনধে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। দেশের অন্যান্য অংশের মতো হরিয়ানাতেও বনধের প্রভাব দেখা গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানা রোডওয়েজের কর্মচারীরাও বনধ পালন করছিলেন। সমস্ত কর্মচারীকেই বনধের দিন বিক্ষোভে সামিল হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই বাসচালক বিক্ষোভে যোগ দিতে অস্বীকার করে। এরপরই বুধবার, ৩০ মার্চ তিনি কাজে যোগ দিতে গেলে সহকর্মীরা তাঁকে জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্থা করেন। অপর এক কন্ডাক্টরকেও বনধে যোগ না দেওয়ার জন্য সহকর্মীরা মিলে মারধর করে।
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার সিরসা জেলার ডাবওয়ালিতে ওই বাসচালক ও কন্ডাক্টরকে হেনস্থার শিকার হওয়ার খবর পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী মূলচন্দ শর্মা জানিয়েছেন, বাস চালক ও কন্ডাক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে বিক্ষোভ দেখানোর, কিন্তু যদি কোনও কর্মীকে তাঁর সহকর্মীরাই জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্থা করেন, তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
আরও পড়ুন: IIT Kanpur research: একটা ইনজেকশনেই শরীরে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া ‘হাড়’, বিপ্লব ঘটালেন আইআইটি-র অধ্যাপক