Voter List: নির্বাচনের আগে ঘুরপথে NRC? মমতার আশঙ্কায় সায় দিচ্ছে বামেরাও, এককাট্টা হয়ে চড়াচ্ছে সুর
Voter List: কমিশনের এই নির্দেশিকার পরেই সুর চড়িয়েছেন মমতা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'ডিক্লারেশন ফর্ম আপত্তিজনক। কমিশন সবাইকে ক্রিতদাস ভাবছে। ওরা আসলে বিহারকে হাতিয়ার করে বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে।'

পটনা: ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়ছে চাপানউতোর। কমিশনের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এককাট্টা হয়েছে বিরোধী শিবির। মমতার সুরেই এবার সুর মেলাচ্ছে তারা।
সামনেই বিহার ও বাংলায় নির্বাচন। একটা এই বছর, অন্যটা পরের বছর। বাংলার জন্য এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি না করলেও, বিহারে ভোটার তালিকায় সার্বিক সংশোধনের কথা তুলেছে নির্বাচন কমিশন। একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া আর ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না। এছাড়াও ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল না, তাদের জন্মের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, জমা দিতে হবে একটি ডিক্লারেশন ফর্মও।
কমিশনের এই নির্দেশিকার পরেই সুর চড়িয়েছেন মমতা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘ডিক্লারেশন ফর্ম আপত্তিজনক। কমিশন সবাইকে ক্রিতদাস ভাবছে। ওরা আসলে বিহারকে হাতিয়ার করে বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে।’ এমনকি, কমিশনের এই নতুন নিয়মকে ‘ঘাপলা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, এটা কি ঘুরপথে NRC আনার মাধ্যম?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ‘যুদ্ধের’ ঘোষণা করতেই তাতে সামিল হয়েছে বিহারের বিরোধী শিবির। পড়শি রাজ্যের লালু নেতৃত্বধীন আরজেডি-র অভিযোগ, সংখ্যালঘু, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণীর ভোটারদের বাদ দিতেই এই উদ্যোগ। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, কমিশনের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করছে ভোটার তালিকায় গন্ডগোল রয়েছে। মমতার NRC-প্রশ্নে সায় দিয়েছে বামেরাও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই কমিশনের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিহারের সিপিআইএমএল-ও।
প্রসঙ্গত, বিহারের মোট ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ভোটারকে কমিশনের নতুন নিয়মবিধি মেনে যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হতে পারে। নির্বাচনের আর মোটে আড়াই মাস। তার আগে এত সংখ্যক ভোটার তথ্য সংগ্রহ থেকে সংশোধন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

