Bilkis Bano Case: সুপ্রিম রায়েই মান্যতা, গোধরার জেলে আত্মসমর্পণ করল বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষক
Supreme Court: ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে গণধর্ষিত হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময়ে ২১ বছর বয়স ছিল বিলকিস বানোর এবং ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন তিনি। তাঁর চোখের সামনেই ৩ বছরের সন্তান সহ পরিবারের ৭ জনকে খুন করে ধর্ষকরা।
আহমেদাবাদ: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করল বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Case) অভিযুক্ত ১১ জন। রবিবার রাতে তাঁরা গুজরাটের গোধরা জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। গত ৮ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতের তরফে বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত অপরাধীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে গোধরার ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর এনএল দেশাই জানান, রাতের মধ্যে ১১ জন অপরাধীই আদালতের নির্দেশ মেনে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এই ১১ জন হলেন বাকাভাই ভোহানিয়া, বিপিন চন্দ্র জোশী, কেশরভই ভোহানিয়া, গোবিন্দ নাই, যশবন্ত নাই, মীতেশ ভাট, প্রদীপ মোরধিয়া, রাধেশ্যাম শাহ, রাজুভাই সোনি, রমেশ চন্দনা ও শৈলেশ ভাট।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে গণধর্ষিত হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময়ে ২১ বছর বয়স ছিল বিলকিস বানোর এবং ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন তিনি। তাঁর চোখের সামনেই ৩ বছরের সন্তান সহ পরিবারের ৭ জনকে খুন করে ধর্ষকরা।
বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী ১১ জনকে ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। গত ৮ জানুয়ারি বিলকিস বানো মামলার রায় দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে দোষী ১১ জনের মুক্তির সিদ্ধান্তকে এক্তিয়ারভুক্ত বলে উল্লেখ করে। ২১ জানুয়ারির মধ্যে দোষী ১১ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতিই কয়েকজন দোষী অসুস্থতা, পরিবারে বিয়ে ও কৃষিকাজের কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য আরও কয়েকদিন সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। তাদের আবেদনে কোনও ‘মেরিট’ নেই বলেই জানায় শীর্ষ আদালত। এরপরই ২১ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ১১ জন দোষী।