যোগী-গড় ধরে রাখতে উত্তরপ্রদেশ ভোটের দায়িত্বে প্রহ্লাদ, ডেপুটি লকেট

UP Assembly Election : যোগীরাজ্যকে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে তাই এবার উত্তরপ্রদেশ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

যোগী-গড় ধরে রাখতে উত্তরপ্রদেশ ভোটের দায়িত্বে প্রহ্লাদ, ডেপুটি লকেট
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বে রয়েছেন প্রহ্লাদ যোশী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 5:27 PM

লখনউ : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র মাস ছ’য়েক বাকি। আগামী বছরের শুরুর দিকেই বিধানসভা ভোট হতে পারে যোগী রাজ্যে। এখন থেকেই গরম হতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। শুরু হয়ে গিয়েছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। আর এরই মধ্যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে নিয়োগ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে। আর প্রহ্লাদ যোশীর ডেপুটি করা হয়েছে বাংলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।

কথায় বলে, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লির মসনদ তার। ৮০ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আর ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের গড় আরও শক্ত করার মানে, ২০২৪ সালের লোকসভায় শুরু থেকেই এক পা এগিয়ে থাকা। আর এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পারছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাই উত্তরপ্রদেশকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে তারা। ভোটের এখনও মাস ছ’য়েক বাকি। যোগীরাজ্যকে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে তাই এবার উত্তরপ্রদেশ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, গতকালই উত্তরপ্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব পাঁচ জেলার সভাপতি নিয়োগ করেছে। আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপি উত্তরপ্রদেশ নেতৃত্ব ৪০৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে নিচুতলার কর্মীদের জন্য বিশেষ কর্মিসভা শুরু করেছে। ৫ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের ১৭ টি শহরে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলবে এই কর্মিসভা।

লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে উত্তরপ্রদেশ দখলের জন্য নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। আগামী শুক্র ও শনিবার লখনউতে যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দলের নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কার ঝাঝালো ভাষণ বিজেপির উপর চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা গেরুয়া শিবিরের যথেষ্ট কৌশলী চাল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের তপ্ত ভাষণ কার্যত তাতিয়ে রেখেছিল দলের নিচুতলার কর্মীদের। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের পাশাপাশি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে দলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বিশেষ করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে কাটায় কাটায় টক্কর দিতেই লকেট চট্টোপাধ্যায়কে লখনউতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত বিজেপির। অন্তত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই মনে করছেন।

উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি, পঞ্জাবের নির্বাচনে বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে। সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন হরদীপ সিং পুরি এবং মীনাক্ষি লেখী।

আরও পড়ুন : বলেছিলেন দেশ থেকে ব্রাহ্মণ তাড়াতে, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ বার জেলে যেতে হল মুখ্যমন্ত্রীর বাবাকে!