পিএম কিসান নিধির টাকা বণ্টন বন্ধ রাখা হোক বাংলায়, মোদীকে চিঠি দিলীপের
যতক্ষণ না বাংলার কৃষকদের তথ্য কেন্দ্র যাচাই করছে, ততক্ষণ যেন কিসান নিধির আর একটা টাকাও না দেওয়া হয় বাংলার চাষিদের।
কলকাতা: দীর্ঘ কয়েক বছর অপেক্ষার পর অবশেষে চলতি মাসেই পিএম কিসান নিধির টাকা পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা। কিন্তু, সেই টাকা এসে পৌঁছনর পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এই প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিস্ফোরক দাবি তুলে তিনি চিঠি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বৃহস্পতিবার নমোকে একটি চিঠি দিয়ে দিলীপ বলেছেন, যতক্ষণ না বাংলার কৃষকদের তথ্য কেন্দ্র যাচাই করছে, ততক্ষণ যেন কিসান নিধির আর একটা টাকাও না দেওয়া হয় বাংলার চাষিদের।
আমপানের ত্রাণ-সহ একাধিক রাজ্য সরকারের প্রকল্পে টাকা বিলি নিয়ে দুর্নীতির তত্ত্ব খাড়া করে দিলীপবাবু চিঠিতে লিখেছেন, পিএম কিসান নিধির টাকা পাওয়ার জন্য যে পরিচয়পত্র আবশ্যক তা হল আধার কার্ড। এটাই মূল সমস্যার কারণ বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া। তাঁর দাবি, “স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে একটা আধার কার্ড তৈরি করে নেওয়া কোনও ব্যাপারই নয় অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর লকডাউনের কারণে যেহেতু কৃষকদের দেওয়া নথি এবং পরিচয়পত্র শারীরিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, সেই কারণে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ধাপ্পাবাজি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এই বিষয়টি উল্লেখ করে বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জানিয়েছেন দিলীপ। তিনি লিখেছেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের যে তালিকা যাচাই করে পাঠিয়েছে তা যেন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা আরেকবার যাচাই করা হয়। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে এই যাচাই পর্ব সারা হচ্ছে, ততক্ষণ যেই রাজ্যের যাচাই করা তালিকাভুক্ত কৃষকদের আর কোনও টাকা না দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে যে সব কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের তালিকা যেন ব্লক এবং পঞ্চায়েত অফিসে লাগানো হয় সেই আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর সর্বকালীন রেকর্ড বঙ্গে, একদিনে ১৬২ জন মারা গেলেন করোনায়, সংক্রমণ কমছে কলকাতায়
একই সঙ্গে দিলীপ উল্লেখ করেছেন, বাংলায় মোট চাষিদের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ লক্ষ হলেও পিএম কিসান নিধি প্রকল্পের মে মাসের কিস্তিতে এই রাজ্যের মাত্র ৭ লক্ষ কৃষকেরা এই সুবিধা পেয়েছেন। তার মধ্যেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে বলে আজকের চিঠিতে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও সরকারি কাজের ক্ষেত্রেই কাটমানি এবং সিন্ডিকেট রাজের খপ্পরে পড়তে হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার’, নবান্ন থেকে ফিরে ফিরহাদের বাড়িতে হাজির মমতা