BJP: ‘দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতেই পরস্পরকে সমর্থন’, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির পাল্টা তোপ বিজেপির
যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।

নয়া দিল্লি: দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই বিরোধী দলগুলি একে অপরকে সমর্থন করছে। তবে বিজেপি (BJP) দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। বিজেপি দেশের অগ্রগতির পক্ষে। রবিবার ৭টি বিরোধী দলের খোলা চিঠির পাল্টা এমনই জবাব দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ (BJP MP) সুধাংশু ত্রিবেদী।
এদিন কেজরীবালের প্রাক্তন ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলগুলির তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া যৌথ চিঠির জবাবে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “আমরা দেশের অগ্রগতির পক্ষে। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে একে অপরকে সমর্থন করছে।” তিনি আরও বলেন, “এই চিঠি দিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।” এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “চিঠিতে যে সমস্ত নেতারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এমনকি যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।” এপ্রসঙ্গে বালগঙ্গাধর তিলকের ‘আত্ম-নিয়ম আমাদের জন্মগত অধিকার’ শ্লোগান তুলে ধরে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন সুধাংশু ত্রিবেদী। আম আদমি পার্টির অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। যদিও ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে’ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি আপ-এর। সিসোদিয়ার গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ৯টি বিরোধী দলের প্রধানের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দিয়েছে আপ। সেই চিঠিতে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ছাড়াও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কে চন্দ্রশেখর রাও, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, শিবসেনা-ইউবিটি প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবও স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।





