Ravi Shankar Prasad: ‘নিজেকে শহিদ প্রমাণ করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন’, রাহুলকে তোপ বিজেপির

Ravi Shankar Prasad: রাহুলকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। রাহুলের বিরুদ্ধে সহানুভূতির কৌশল করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

Ravi Shankar Prasad: 'নিজেকে শহিদ প্রমাণ করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন', রাহুলকে তোপ বিজেপির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 7:29 PM

নয়া দিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্য করায় সুরাট আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। ২ বছরের জেলের সাজাও শোনানো হয়েছে তাঁকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তারপরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর আজ প্রথম সাংবাদিক বৈঠকও করেন রাহুল গান্ধী। সেই বৈঠক থেকে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পিছনে যুক্তিও সাজান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, “সংসদে তাঁর আদানি নিয়ে ভাষণে ভীত প্রধানমন্ত্রী। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।” তবে রাহুলের এইসব মন্তব্যের পরই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, আসন্ন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাহুলের এই সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা ওঠাতে চায় কংগ্রেস। রাহুল এই ঘটনায় নিজেকে ‘শহিদ’ মনে করছেন।

আজ সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেছেন, তিনি মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলেই বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। তবে বিজেপির তরফে তাঁর এই বিস্ফোরক দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পটনায় বিজেপির অফিস থেকে রবি শঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিকদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আদানি ইস্য়ুর সঙ্গে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আদানি ইস্যুর সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদে অযোগ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে রাহুল গান্ধী অনগ্রসর শ্রেণি সম্পর্কে তাঁর অবমাননাকর কথা বলার অভ্যাস থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জাতিগত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাওয়ায় সুরাট আদালতই তাঁকে সাজা দিয়েছে।”

কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, কংগ্রেসের অন্দরে অনেক বর্ষীয়ান আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে তাঁরা কোনও আইনি পদক্ষেপ কেন করলেন না। তাঁর বক্তব্য, এই সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার বিষয়টি আসন্ন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। তিনি স্পষ্ট করেছেন, সুরাট আদালতের রায় এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, “পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সম্মান ক্ষুণ্ণ করার জন্য রাহুল গান্ধীর প্রচেষ্টা প্রকাশ করতে বিজেপি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে যাবে।” তিনি জানিয়েছেন, এই মর্মে বিজেপি দেশজুড়ে অভিযানে নামবে।

আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাহুল বলেন, ভারতে গণতান্ত্রিক কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখতে তিনি বিদেশি সাহায্য চাননি। সেই বৈঠকের অডিয়ো ক্লিপ বাজিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, কোনও নির্বাচনে হেরে গেলেই তিনি বিদেশে গিয়ে কাঁদেন। তিনি বলেন, “তাঁর মতে, জনগণ কংগ্রেসকে ভোট না দিলেই এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায় এবং বিচার বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে।” তিনি বলেন, রাহুল নির্বাচনে জিততে না পারলে বিজেপির কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেছেন, “মোদীর নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য করার জন্য কংগ্রেস নেতাদের অবশ্যই লজ্জিত হওয়া উচিত। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর ফোনে পেগাসাস রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে তিনি তাঁর ফোনটি ‘চেক’ করতে যাননি, যদি তাঁর ফোনে সত্যিই যদি আড়ি পাতা হয়ে থাকে তাহলে কেন তিনি যাননি? তিনি আসলে ভয় পেয়েছিলেন।” এদিকে আজ রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে সাভারকরের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাহুল বলেন, “আমি সাভারকর নই। আমি গান্ধী। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না।” তাঁর এহেন মন্তব্যের জন্য কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি বলেছেন, তাঁর এহেন মন্তব্যের জন্য রাহুলের যেকোনও সমালোচনাই কম। তিনি রাহুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন।