প্রথম দিনেই করোনা টিকা নিলেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারাও, তালিকায় কীভাবে এল নাম?

গত সোমবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক নেতারা যেন করোনা টিকা নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি না শুরু করেন, যখন তাঁদের পালা আসবে, একমাত্র তখনই তাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন।

প্রথম দিনেই করোনা টিকা নিলেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারাও, তালিকায় কীভাবে এল নাম?
ভ্যাকসিন নিলেন বিজেপি সাংসদ ও তৃণমূল বিধায়ক।
Follow Us:
| Updated on: Jan 16, 2021 | 6:36 PM

নয়া দিল্লি: কথা ছিল প্রথম ধাপে করোনা টিকা নেবেন কেবল স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা। অথচ দেশের দুই প্রান্তে দেখা গেল দুই চিত্র। একদিকে যেমন উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা মহেশ শর্মা (Mahesh Sharma) করোনা টিকা নিলেন, তেমনই আবার রাজ্যে কাটোয়ার তৃণমূলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Chatterjee)-কেও দেখা গেল করোনা টিকা নিতে। তবে কি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই টিকা নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা?

আজ নয়ডার গৌতম বুদ্ধ নগরের একটি হাসপাতালে সকাল ১১টা নাগাদ করোনা টিকা নেন বিজেপি (BJP) সাংসদ মহেশ শর্মা। তবে তিনি সাংসদ হিসাবে নন, করোনা টিকা পেলেন একজন চিকিৎসক হিসাবে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকও। সেই হিসাবেই তাঁর নাম ছিল টিকা প্রাপকদের তালিকায়। করোনা টিকা নেওয়ার পর তাঁকে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণের জন্যও রাখা হয় হাসপাতালে।

পরে নিজেও টুইট করে টিকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “করোনাকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা শুরু হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে, বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনের মাধ্যমে। একজন চিকিৎসক হিসাবে আমিও করোনার টিকা নিয়েছি এবং আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি। ভ্যাকসিনটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং সকলের উচিত এই ভ্যাকসিন নেওয়া।”

আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম করোনা টিকাকরণ অভিযানের শুরুতে শুভেচ্ছা জানাল হু

অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও করোনা টিকা নেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তিনি রোগী কল্যাণ কমিটি (patients’ welfare committee)-র সদস্য হিসাবে করোনা টিকা পেয়েছেন। প্রশ্নের মুখে পড়ে বিধায়ক জানান, তাঁর কাছে এসএমএস আসায় তিনি টিকা নিতে গিয়েছিলেন। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার যুক্তি, “আমিও তো সামনে থেকেই কোভিড-কালে লড়েছি। আমার কাছে এসএমএস এসেছে, আমি যদি না নিই, তবে অন্যরাও তো ভয়ে নেবে না। সেই জন্যই নিয়েছি।”

গত সোমবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক নেতারা যেন করোনা টিকা নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি না শুরু করেন, যখন তাঁদের পালা আসবে, একমাত্র তখনই তাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তেলাঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েটেলা রাজেন্দর (Eatala Rajender) জানান, আগে তিনি রাজ্যে প্রথম ভ্যাকসিন নেবেন একথা ঘোষণা করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর তা করবেন না।

আরও পড়ুন: ভয় কাটাতে নিজের গায়েও সূচ ফোটালেন সিরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা