JP Nadda: বিজেপিতে শিবরাজ-বসুন্ধরা-রমনদের ভবিষ্যৎ কী? স্পষ্ট করলেন জেপি নাড্ডা
JP Nadda on Vasundhra, Shivraj and Raman's future: তিন রাজ্যেই তিন নতুন মুখ তুলে আনার পর, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিন রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী - বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিং চৌহান এবং রমন সিংয়ের ভবিষ্যত নিয়ে। তিন জনেই কি এবার বসে যাবেন? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কী জানালেন?
নয়া দিল্লি: রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে দুর্দান্ত নির্বাচনী জয় পাওয়ার পর, তিন রাজ্যেই নতুন নেতৃত্ব তুলে এনেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মধ্য প্রদেশে মোহন যাদব, রাজস্থানে ভজন লাল শর্মা এবং ছত্তীসগঢ়ে বিষ্ণু সাইকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। তিন রাজ্যেই তিন নতুন মুখ তুলে আনার পর, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিন রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী – বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিং চৌহান এবং রমন সিংয়ের ভবিষ্যত নিয়ে। তিন জনেই কি এবার বসে যাবেন? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই দলের বিশিষ্ট নেতা। কাজেই প্রত্যেককেই তাঁদের নিজ নিজ মর্যাদা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “দলের সবাইকেই তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমাদের দল ছোট কর্মীদেরও যথাযোগ্য সম্মানে ব্যবহার করে থাকে।”
অনেকেই দাবি করছেন, নতুন নেতাদের বেছে নেওয়ায় এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা বেশ অসন্তুষ্ট। বসুন্ধরা রাজের মুখভঙ্গি কিংবা শিবরাজ সিং চৌহানকে জড়িয়ে ধরে মধ্য প্রদেশের মহিলা বিজেপি কর্মীদের কাঁদার ছবি তুলে ধরা হচ্ছে। এই বিষয়ে জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হবে, এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, “আমি তাঁদেরকে বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকেই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।” বিজেপি সভাপতি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের দল শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর বড় পদের জন্য নয়, তৃণমূল স্তরেও নেতা নির্বাচন করার জন্য বিস্তৃত গবেষণা করে। বিজেপির সমস্ত কর্মীদের উপরই শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নজর থাকে। তিনি বলেন, “তাদের ইতিহাস, তাদের কর্মকাণ্ড, তাদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে এক বিশাল তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে। আমরা সময়ে সময়ে সেই তথ্য ভান্জার নিয়ে গবেষণা করি।”
তিন রাজ্যের তিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়ে জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর এবং যখন দল বিভিন্ন আসনে টিকিট দেওয়া শুরু করেছিল, তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার পর থেকেই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিরোধী আসনেই বসি বা ক্ষমতায় আসি, কে কে আমাদের নেতা হবে তা বাছার কাজ শুরু হয়ে যায়। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এই প্রক্রিয়া গতি পেয়েছিল। গভীর আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।”