UP Legislative Council: উত্তর প্রদেশে অবাক কাণ্ড, বারাণসীতেই হেরে গেল বিজেপি!
UP Legislative Council: খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই কেন্দ্রে বিজেপি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রিজেশ সিং কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি।
লখনউ: গতমাসেই যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুলভাবে জিতে লখনউয়ের মসনদ দখল করেছে বিজেপি। দেশের রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এবারের উত্তর প্রদেশ ভোট বিজেপির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ভারতীয় রাজনীতিতে কথিত আছে, ‘দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়।’ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তাই এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর বিধান পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী থেকেই হেরে গেল বিজেপির প্রার্থী। তবে বারাণসী কেন্দ্রে হারলেও বিধান পরিষদ নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই ব্যপক জয় পেয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদের ১০০ টি আসনের মধ্যে ৩৬ টি আসনই খালি ছিল। খালি থাকা সেই আসনগুলিতেই ক’দিন আগে নির্বাচন হয়। ৩৬ টি আসনের মধ্যে ৩০ টির বেশি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিধান পরিষদের ৯ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই জয়ের সঙ্গে বিধানসভার উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল বিজেপি।
তবে গোটা রাজ্যে জিতলেও বারাণসী কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর পরাজয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বারাণসী কেন্দ্রে স্থানীয় বাহুবলী হিসেবে পরিচিত ব্রিজেশ সিংয়ের স্ত্রী অন্নপূর্ণা সিং বিধান পরিষদের আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই কেন্দ্রে বিজেপি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রিজেশ সিং কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি। তবে এবার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কেন্দ্রে ভোটের লড়াই বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট ছিল। তবে সেই লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
বিজেপি বারাণসী ছাড়া অন্য রাজ্যগুলিতে বিপুল জয় পেলেও সমাজবাদী পার্টি এই নির্বাচনে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর হাসাপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই চিকিৎসকই এবার বিধান পরিষদের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণত এই নির্বাচনে সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েত প্রধানরা ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনের ফলাফল নিঃসন্দেহে অখিলেশের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন Partha Chatterjee : SSKM-এ যাওয়া যাবে না, বিকেলেই পার্থকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের